সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেনকে গ্রেফতার ও দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। রোববার রাতে পৌর শহরের সদর রোডস্থ এলাকায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ, সুশিল সমাজ এবং সাধারন মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভ শেষে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে এবং পটুয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়ে আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন তারা। এসময় ৭ জানুয়ারী বিকালে ভোটের দিন পটুয়াখালী-০১ আসনে জোটের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আফজাল হোসেনের বাড়ীর সামনে একটি ভোট কেন্দ্র পরির্দশনে গেলে আফজালের ভাইদের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন-“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ জোটের সিদ্ধান্তে জাপার কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে লাঙ্গল মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীসহ আমরা জননেত্রীর সিদ্ধান্তে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করলেও অ্যাড. আফজাল হোসেন ও তার লোকজন কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। শেষ পর্যন্ত রুহুল আমিন হাওলাদারের উপরে হামলা করেছেন তারা। এছাড়াও তিনি বিগত নির্বাচন গুলোতে দলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করতে বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি ক্রমাগত দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। তাই আফজালকে দল থেকে বহিস্কার করে তার ন্যাক্কার জনক কর্মকান্ডের বিচার করা উচিত বলে মনে করি। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ আ.লীগের নেতা বলেন-“গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা চিঠির মাধ্যমে নৌকা উঠিয়ে পটুয়াখালী-০১ আসনে লাঙ্গল দিয়েছেন। ১৮ ডিসেম্বর ফোন কলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মহাসচিব লাঙ্গলের প্রার্থীকে সহযোগীতা করতে বলেন। পরবর্তীতে আমি জরুরী সভা ডেকে এ নির্দেশনা দলের সকলকে অবগত করে রুহুল আমীনের পক্ষে কাজ শুরু করি। অথচ আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, যুবলীগের সভাপতি অ্যাড.শহিদুল ইসলাম,ছাত্রলীগের একটি অংশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং আফজালের বাসায় আশ্রয় দিয়ে তার নির্বাচন পরিচালনা করছেন। যে কারনে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন এসব প্রসঙ্গে বলেন,আমি সকালে ভোট দিয়ে বাসায় অবস্থান করেছি। ভোট গ্রহণের শেষ মুহুর্তে একজন প্রার্থী ওই কেন্দ্রে গেছেন । আমি মনে করি বিকাল ৪ টার সময় আমার বাড়ির কেন্দ্র একজন প্রার্থী যাওয়ার মধ্যে রহস্য আছে । প্রার্থীর উপর হামলা হয়নি, ভাংচুর হয়েছে শুনেছি। আজকে তেমন কিছু হয়নি,অতিরঞ্জিত কথা বলে খারাপ পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।