সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন,পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার এস,আই মোঃ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির নিকট ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘুষ দাবি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা শারমিন আক্তার (৪০) এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে, তার স্বামী একই উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শামশুল হক জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে গত ৪ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে এসআই আবুল আাসামী গ্রেফতারের জন্য তাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এছাড়াও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়।
এদিকে মির্জাগঞ্জ থানা সূত্রে জানাযায়, থানার কোন রেজিস্ট্রারে শামসুলহক জোমাদ্দার নামের কোন ব্যক্তির নামে ওরেন্ট অন্তর্ভুক্ত নেই। তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলার আলোকে গত ৯”এপ্রিল আসামির প্রতি সমন জারি করেন বিজ্ঞ আদালত।পরবর্তীতে গত ১৪’মে শামসুল হক বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে তাকে জামিন প্রদান করেন। এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার এসআই আবুল হোসেনের কাজে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২ জুলাই শামসুল হক ও শারমিনের মধ্যে তালাক হয়।
এরপর ১৯ জুলাই শামসুল হক বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আাদলতে শারমিনরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করলে অফিসার ইনচার্জ তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তিনি আরও বলেন, যৌতুক মামলার সাথে আমাকে দায়িত্ব দেয়া মামলার কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও শামসুল হকের বিরুদ্ধে যেহেতু কোন ওরেন্টই নেই সেখানে কীভাবে আসামি গ্রেফতারের জন্যে টাকা দাবি করবো। এনিয়ে অভিযোগকারী শারমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সে ফোন কল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, শামসুল হক জোমাদ্দারের নামে মির্জাগঞ্জ থানার রেজিস্ট্রারে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানো এন্টি নাই।
শুধু আদালত থেকে সমন জারি হয়েছে। এটা আদালতের বিষয়। এখানে থানা পুলিশর কোন সম্পৃক্ততা নেই। আর যেখানে ওরেন্ট হয়নি সেখানে পুলিশ আসামি গ্রেফতারের জন্য ঘুষ দাবি করবে কীভাবে।