সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে শুকনো পাতায় আগুন দেখতে গিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় গায়ে আগুনে ধরে যায় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তারের (৯)। শিশুটির গায়ে আগুন জ্বলতে দেখে প্রত্যক্ষদর্শী তাকে নিয়ে ঝাঁপ দেন পুকুরে।
তবে তার আগেই পা এবং মুখমণ্ডল বাদে আগুনে পুরোটাই ঝলসে গেছে এ কোমলমতির।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পৌনে ১২ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফারজানা একই এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে। সে পূর্ব লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে সে।
প্রতক্ষ্যদর্শী স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ফয়সাল বলেন, বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবনে কাগজপত্র ও শুকনো পাতায় কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই আগুনের পাশে গিয়ে নাড়াচাড়া করলে তাৎক্ষণিক গায়ে আগুন ধরে যায় ফারজানার। মুহূর্তের মধ্যে পুরো শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আমি তাকে টেনে নিয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিই। পরে দ্রুত পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুল হাসান বলেন, শরীরের ৭২ ভাগ ঝলছে গেছে মেয়েটির। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
পূর্ব লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার বলেন, বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার পর পরিত্যক্ত ভবন হয়ে যাওয়ার সময় ওই ঘটনা ঘটে। তখন চিৎকার দিলে ফয়সাল দৌড় দিয়ে তাকে নিয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়।