বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
উদযাপিত হচ্ছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ‘শ্মশান দিপালী’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত, সড়ক অবরোধ-অগ্নিসংযোগ বরিশালে প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ন্যায্যমূল্যের দোকান প্র‍য়াত স্বজনদের স্বরনে কলাপাড়ায় শ্মশান দিপালী উৎসব পালিত আন্দোলন সংগ্রামে নিহতদের জন্য যুবদলের দোয়া মুনাজাত কলাপাড়ায় জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে জেলেকে মারধর পটুয়াখালীতে সাবেক আ’লীগ ও বিএনপি করা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে, সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক ৫ জন অনিয়মই যেন নিয়ম চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বি এন পির প্রতিবাদ সমাবেশ গলাচিপায় গনআধিকার পরিষদের সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল কলাপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘এইচপিভি’ টিকা প্রদান যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বাউফলে জামায়াতে ইসলামীর গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত সড়কে নিরাপত্তায় নতুন আইনের দাবি বরিশালে কলাপাড়া পৌরসভার রাজস্ব লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা
শিক্ষার্থীদের সনদ লিখে যাচ্ছেন মুহিত

শিক্ষার্থীদের সনদ লিখে যাচ্ছেন মুহিত

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন ডেক্স:সিলেট:নিজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেও ২৬ বছর ধরে লিখছেন দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সনদ। তিনি হলেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল মুহিত হেলালের কথা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে শাবিপ্রবিতে ৩ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ২৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ (তৃতীয়) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি।

এ তিন সমাবর্তনেই নিজের হাতে লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ এবং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ১১ হাজার সনদ। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় ২৬ বছর ধরে নিজ হাতে লাখের বেশি শিক্ষার্থীর সাময়িক ও মূল সনদ লিখেছেন মুহিত হেলাল।

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় বেড়ে উঠেছেন মুহিত। তবে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সিলেট মদন মোহন কলেজ থেকে। পরে এল.এল.বি সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে নিজে না পারলেও সন্তানকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চান মুহিত। ছেলের সনদটিও নিজের হাতেই লেখতে চান তিনি।

মো. আব্দুল মুহিত হেলাল বলেন, সর্বশেষ তৃতীয় সমাবর্তনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর সনদ লিখেছেন তিনি। খুব কম সময়ে সনদগুলো লিখতে গিয়ে অসুস্থও হয়েছি, তবুও দমে যায়নি।

শিক্ষার্থীদের সনদ লেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, শাবিপ্রবি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছেন, পার করছেন ভালো কর্মজীবন। তাদের অর্জনে আমিও অংশীদার হতে পেরে আনন্দ লাগে, তাই এ কাজটা করতে আমার অনেক ভালো লাগে।

প্রসঙ্গত, আব্দুল মুহিত ১৯৯৬ সাল থেকে শাবিপ্রবিতে মাস্টার রোলে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১ নভেম্বর ২০০০ সালে ক্যালিওগ্রাফার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র ক্যালিওগ্রাফারের পদ পান। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন মুহিত।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD