শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বানারীপাড়ায় কলেজের অধ্যক্ষ দুর্বৃত্তদের হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে পারলেন না বাবা, পথেই মৃত্যু বাউফলে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কলাপাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ব্যবসায়ীকে মারধর, ছিনতাই, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন।। শ্রমিক দল নেতা গ্রেফতার বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় কলাপাড়ায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিকনেতা আবুল কাশেম চৌধুরীর জন্য দোয়া মুনাজাত সাংবাদিককে মুঠোফোনে জেলা যুবদল নেতার হুমকি জুলাই যুদ্ধে জয়ী হলেও জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন বাউফলের হৃদয় বাউফলে অবৈধ ট্রলি আবারও কেড়ে নিলো একটি তাজা প্রান বাউফলে অবৈধ ট্রলি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংস গনহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বরিশালে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা জাফরুল হাসানের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন কলাপাড়ায় চাচার পায়ের রগ কর্তন করলেন ভাতিজা কলাপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষায় দ্বায়িত্ব গ্রহণকারী শিক্ষকদের কর্মশালা
ছাত্রলীগ নেতা জাবেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি অবশেষে মিথ্যা প্রমাণিত

ছাত্রলীগ নেতা জাবেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি অবশেষে মিথ্যা প্রমাণিত

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন ডেক্স: বরিশালের ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে মারামারির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা জাবেদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি খারিজ হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) মামলা খারিজ করা হয়েছে। ঝালকাঠি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী খান মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত অনুলিপিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর ফলে মামলা থেকে অব্যহতি পেলেন ছাত্রলীগ নেতা মো: ফয়সাল বিন জাবেরসহ সাতজন। সূত্র: এম,পি মামলা নং ২২/২০২১ (নলছিটি)।এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল বিন জাবের এর ভাষ্য, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার মানহানি করা হয়েছে। যে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক হয়রানির মামলাটি করার নেপথ্যে হিসেবে কাজ করেছে ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির হোসেন বিশ্বাস ও তার অনুসারীরা।

আমির বিশ্বাস এবং তার সহযোগীদের শলাপরামর্শে ভাড়াটিয়া হুমায়ুন কবির মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছিল।ছাত্রলীগ নেতা জাবের বলেন, আমির বিশ্বাসের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মনোমালিন্য চলে আসছে। এ কারণে আমাকে নানা ধরণের নাটক সাজিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। আমার চাচার ভাড়াটিয়া হুমায়ুন কবির কাউন্সিলর আমির বিশ্বাসের টিসিবির চাল বিক্রি করতো। এছাড়া হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী ও মেয়ে আমির হোসেন বিশ্বাসের বাসায় কাজের লোক হিসেবে কাজ করতো। আর ছেলে আমির বিশ্বাসের বাসার বাজার করার কাজে নিয়োজিত ছিল। অর্থাৎ হুমায়ুন কবির সহ তার বাসার সকলেই আমির বিশ্বাসের বাসায় কর্মরত ছিল। এই হুমায়ুন কবিরকে ব্যবহার করেই আমাকে ফাঁসানোর ছক করে আমির হোসেন বিশ্বাস।

এরইধারাবাহিকতায় হুমায়ুন কবির ও তার ছেলেকে দিয়ে প্রথমে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। এর কয়েক মাস পরে আবার হুমায়ুন কবিরকে ব্যবহার করে দুটি মামলা দায়ের করানো হয়। এই মামলা গুলো আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মারধরের এ মামলা দায়েরের আগেও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। যা ইতোমধ্যে পুলিশি তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মারামারির যে মামলাটি থেকে অব্যাহতি পেলাম সেই মামলা ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা একই তারিখে ঝালকাঠি আদালতে দায়ের করা হয়।ছাত্রলীগ নেতা জাবের আরো বলেন, আমির হোসেন বিশ্বাস ও তার অনুসারীরা মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে সামাজিকভাবে মানহানি করেছে। আমি তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।পুলিশী তদন্তে জানা যায়, মামলার বাদী হুমায়ুন কবির ছাত্রলীগ নেতা জাবের এর চাচার বাসায় ভাড়া থাকতো। ভাড়ার টাকা ঠিকমত পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে ভাড়াটিয়া হুমায়ুন কবির এর সাথে জাবেরের চাচীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাবের ঘটনাস্থলে আসেন। হঠাৎ করে জাবের এর উপর পিছন থেকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালায় হুমায়ুন কবির ও তার ছেলেসহ অন্যান্য কয়েকজন।

এতে জাবের আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় ওই সময়ে জাবের এর পিতা ও চাচী বাদী হয়ে হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী ও ছেলে সহ কাউন্সিলর আমির বিশ্বাসের ছেলে বাপ্পীর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটির অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। এই ঘটনার কয়েক মাস পরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানি করার লক্ষে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মো: ফয়সাল বিন জাবের এবং জাবের এর চাচাতো ভাই কামরুজ্জামান মিথুনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: ছগির হোসেন ধর্ষণ চেষ্টার মামলার বিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বপক্ষে কোন ধরণের স্বাক্ষী পায়নি। এছাড়া মামলার অভিযোগে আসামীদের নাম ভুলভাবে উল্লেখ করেছে।

সবমিলিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলার কোন ধরণের সত্যতা না পাওয়ায় মামলাটি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সুষ্ঠ তদন্তের মাদ্যমে প্রোসাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD