কলেজ প্রভাষক’র উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের
আটক ৩ পলাতক ৪ জনকে খুজছে পুলিশ
মীর্জাগঞ্জে প্রকাশ্য দিবালকে বেতাগীর হোসনাবাদ ড.আছমত আলী কলেজ’র প্রভাষক আঃ হক জুয়েলে ’র উপর প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের বর্বরচিত হামলার ঘটনা জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে নিন্দা ও সমালোচনা হয়েছিল বিভিন্ন মহলে । হামলার শিকার আঃহক জুয়েল সহ তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মীর্জাগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা কতৃপক্ষ প্রথমে অনেকটা দায় সারা অভিয়োগ নিয়ে জুয়েলকে চিকিৎসা নিতে বলেন । প্রভাষক জুয়েলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মীর্জাগঞ্জ থেকে চিকিৎসকরা তাকে উন্নিত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। ঘটনার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও থানা কতৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা না নিলে আহত কলেজ প্রভাষক আঃহক জুয়েলের স্ত্রী মোসাঃ জেসমিন আক্তার গত ৯ মে পটুয়াখালী জেলার বিজ্ঞ মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সি.আর (১৩৩) নং মামলা দায়ের করেন ।
এঘটনায় বিজ্ঞ কৌঁসুলির মাধ্যমে ও মামলার বাদীর জবানবন্দী পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক- ওসি মির্জাগঞ্জকে আসামীদের বিরুদ্বে এজাহার গ্রহন পূর্বক দ্রুত ব্যাবস্থাগ্রহনের নির্দেশ প্রদান করে। মীর্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান,
হামলার ঘটনায় মামলা নিয়েছি।
গত- ১৩ মে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে থানা পুলিশের অভিযানে নামধারী ৭ আসামীর মধ্যে মতিন মোল্লা (৪০),ইব্রাহীম (২৫),মোঃ নজরুল হক (৩৭) কে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে । বাকি ৪ জনকেও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান।
মামলা সূত্রে জানাযায় গত-২৫ এপ্রিল সেমবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মীর্জাগঞ্জ থানাধীন ৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চত্রা গ্রামের পশ্চিম বাগের খালের মাটি কাটা নিয়ে স্থানীয় আবুল কালাম ও নুরুল হকের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। এসময় কলেজ প্রভাসক আঃ হক জুয়েল তাদেরকে থামাতেগেলে মামলার আসামী নুরুর হক গংরা সংঘবদ্ধভাবে আঃ হক জুয়েল সহ ৩ জনকে লোহার রড ,লাঠি ,দিয়ে আঘাত করে । স্বামী জুয়েলকে বাাঁচাতে এলে হামলার শিকার হন মামলার বাদী মোসাঃ জেসমিন আক্তার (৩৫) আসামীরা তার স্বর্নের অলংকার ও জুয়েলর সাথে থাকা নগত লক্ষাধিক টাকাছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত হয়। এসময় আঃ হক জুয়েল তাদের থামাতে গেলে তার উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা চালায় স্থানীয় ইউনিয়ন প্রভাবশালী সন্ত্রাসী নুরুল হক এর নেতৃত্বে তার ভাই মতিন মোল্লা, নজরুল হক সহ ৫-৬ জনের একটি বাহিনী। এসময় জুয়েলকে রক্ষা করতে এসে আবুল কালাম ও রাশেদ হামলার শিকার হয়।
প্রভাষক আঃ হক জুয়েল জানায়, আমি রোজারত অবস্থায় ছিলাম তাদের বিরোধ মিটাতে এগিয়ে আসাই আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
হামলার বিষয়ে ৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন খানকে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি লোক মুখে শুনেছি যে খালের মাটি কাটা নিয়ে চত্রা গ্রামে মারামারি হয়েছে।