রবিবার, ২৭ Jul ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
মোঃ নাসির উদ্দিন পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের দড়ি বাহের চর গ্রামের ০১নং ওয়ার্ডের সফিউদ্দিনের ছেলে মোঃ জসিম চৌকিদার প্রতিবেদককে জানায়- যে গত ১মাস আগে রামনাবাদ নদীতে আমার দুটি বেহন্তি জাল বাইচ করে আমার জীবন জিবিকা নির্বাহ করতাম। আমার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৮জন ।
এই ৮ জনের জীবন জিবিকা নির্বাহের মূল হাতিয়ার দুটি জালই ছিলো সম্বল। গলাচিপা মৎস্য কোষগার্ডের অভিজানে আমার জাল দুটো পুড়ে ফেলায় আমার পরিবারটি অচল হয়ে পরে। আমার কর্ম বিরতী করে এখন বাজারে নদীর কূলে বসে থাকা ছাড়া আর কোন সম্বল নাই। তাই সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন দুমুট ভাত খেয়ে যেন বাঁচতে পারি তার কাকুতি জানায় জসিম চৌকিদার। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বুড়ো মা-বাবার চিকিৎসার খরচ ও সংসারের দ্রব্যমূল্যের যে দাম তা আমার পক্ষে কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দারিছে। আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা।
এ বিষয় ১নং আমাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান মনির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে সরকারের আইন মান্য করে সবারই চলতে হবে। যারা প্রকৃত জেলে প্রত্যেকেরই জেলের চাল পায়। কিন্তু জসিম চৌকিদার আসলেই গরীব অসহায় মানুষ।
তার কথাটি শুনে জানতে পারলাম আসলেই দুঃখ জনক ঘটনা। বিষয়টি আমি শুনেছি দেখব। এ বিষয় গলাচিপা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুন নবী বলেন যে সরকারের যে প্রজ্ঞাপন জারি ঝাটকা, বাঁধা, বেহন্তি কারেন্ট জাল ইত্যাদি এর উপরে অভিযাজন চলমান। সেক্ষেত্রে যারা গরীব জেলে অভিযানে যাদের জাল পুড়েছি তাদের জন্য সরকারি একটি ব্যাবস্থা আছে। পর্যাক্রমে সবাই পাবে। আমি শুনেছি জসিম চৌকিদার এর পরিবার আসলেই অসহায়। তার ভোটার আইডির ফেটোকপি, জেলের কার্ডের ফটোকপি দিতে বলেছি দেখব।