বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
ক্রাইম সিন ডেস্ক: বরিশালের ১৩৩টি ছোট বড় নদী সারা বছর ধরে দ্রুত খননের আওতায় এনে নাব্য সচল রাখার জন্য এখানে শিঘ্রই চালু হচ্ছে ড্রেজার বেইজ এর কার্যক্রম। ইতিমধ্যে এর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। এই বেইজটি চালু হলে বরিশাল ভোলা, পটুয়াখালী বরগুনা পিরোজপুর ঝালকাঠি ও শরিয়তপুরের নদীগুলোতে সারা বছর নাব্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।
বরিশালের অঞ্চলের প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার নদীপথ সচল রাখার কীর্ত্তনখোলার পাড়ে নির্মিতছয়েছে ড্রেজার বেইজ । এটু চালু হওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। বরিশালের সাবেক নৌ কারখানার জমিতে ২৪ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় দু একর জায়গা জুড়ে নির্মান করা হয়েছে দুটি ভবন ।
এতে থাকতে ড্রেজিং সিভিল ও মেকানিকালের দুটি অফিস, ডরমেটোরি, ডিজিটাল রিভার মনিটরিং এর নিয়ন্ত্রন কক্ষ, কনফারেন্স রুম ইত্যাদি। অদুরেই নদী পাড়ে থাকবে ৮টি টাগসহ ড্রেজার, টার্মিনাল, গ্যাংওয়ে, অত্যাধুনিক স্টোরেজ, পাইপ বোর্ড ও ক্রেন। সবকিছু নইর্মান ও স্থাপন কাজ প্রায় শেষ বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন আর রশীদ।
নাব্যতা রক্ষায় বরিশালের প্রায় ১৪৫০ কিলোমিটার নৌ পথের অন্তত ৩৫টি স্থানে প্রতি বছর কমপক্ষে ২১ লাখ থেকে ২৫ লাখ ঘনফুট নদী খননকাজ করতে হয়। এটি করতে গিয়ে প্রতি বছরই চিঠি চালাচালিতে ব্যয় হয় দীর্ঘ সময়। দুরান্ত থেকে ড্রেজার এনে খনন কাজ করতে ব্যয় হয় অতিরিক্ত অর্থ। ড্রেজার বেইজ বরিশালে চালু হলে এ সংকট দূর হবার পাশাপাশি সারা বছর ড্রেজিং কাজের পরিবেশ সৃস্টি হবে বলে মনে করেন নৌ দপ্তরের কর্তারা।
তবে বরিশালে ড্রেজার বেইজ প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানালেও নদী কাটার যন্ত্রপাতিতে আধুনিকতা আনার দাবি করেছেন বরিশালের বড় নৌযানগুলোর চালকরা। তাদের মতে সরকারি ড্রেজারের কাটিং লাংগলের ব্যাস বড় করতে হবে। এতে কতে নদীর গভীরতা অন্তত ২০ মিটার পর্যন্ত থাকবে যা ড্রেজিংকে স্থায়ি করবে।
এরা যাত্রিবাহী আধুনিক জাহাজের চলন গভীরতা অনুযায়ী ড্রেজিংকাজ করার দাবি তুলেছেন। বরিশাল অঞ্চলের নৌ-পথ রক্ষায় প্রকৃত অর্থেই এই ড্রেজার বেইজ কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বরিশালের সচেতন সমাজ।