রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
বরিশাল সদর উপজেলার ৭নং চরকাউয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড কর্নকাঠী গ্রামে এ্যাডভোকেট হাবীবাহ নাসরীন বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক এর পূর্বপাশে মোঃ নুরুল ইসলাম শরীফ ও মোঃ ওসমান গনি হাওলাদার সহ তাদের কিছু অংশীদারদের কাছ থেকে মাস কয়েক আগে ৬শতক জমি ক্রয় করেন জমি ক্রয় করার কিছুদিন পর থেকেই কর্ণকাঠী গ্রামের কিছু অসাধু প্রকৃতির লোক তার কাছে চাঁঁদাদাবি করে আসছে চাঁদা না পেয়ে অন্যায় ভাবে জমি দখলের চেষ্টা করিলে এ্যাডভোকেট হাবীবাহ নাসরিন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে সু-বিচারের মর্জি হয় আদালত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেত জমির উপর ১৪৪/১৪৫ধারা নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে বন্দর থানা পুলিশ কে তদন্তর নির্দেশ প্রদান করেন। বন্দরথানা পুলিশ বাদী-বিবাদীদের ঘটনাস্থলে ডেকে স্থিতিশীল থাকার জন্য নোটিশ প্রদান করেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ০৭/১০/২১ তারিখে ভোর ৫টার দিকে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন মামলার বিবাদী নুর হোসেন (ফোরক) ও তার অনুসারীরা মামলার বাদী এ্যাডভোকেট হাবিবা নাসরিন বলেন আমি দূরে থাকার কারণে জমির উপর বাড়ি তৈরির খবর পেয়ে মোবাইলে বন্দরথানা পুলিশ কে জানানোর জন্য চেষ্টা করি করেও ব্যর্থ হই।
আমার জমি দেখাশুনা করার জন্য রাখা কেয়ারটেকার জমির পূর্বের মালিক মোঃ ওসমান গনি কে ফোন দিয়ে ঘর তৈরির কাজে আদালতের ১৪৪/১৪৫ ধারা আদেশ নিয়ে তাদের বাধা দিতে বলি মোঃ ওসমান গনি তার পুত্র রিয়াজ কে সাথে নিয়ে অনুমান সকাল ৬টার দিকে জমিতে গিয়ে বিবাদীদের ঘর তৈরি করতে নিষেধ করলে বিবাদী মোঃ নুর হোসেন (ফোরক) তার ভাই মোঃ জাকির হোসেন, তার ভগ্নীপতি মোঃ জাকির হোসেন (খোকন) সহ তাদের অনুসারীরা ওসমান গনি ও তার পুত্র কে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলে নাহলে মেরে ফেলবে বলে হমকি দেয় ও বিবাদী নুর হোসেন দশমিনা থানার এসআই পরিচয় দিয়ে বলে জমিতে টাকা না দিয়ে কেউ আসলে বিভিন্ন দিক দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে জানান ওসমান গনির শার্টের কলার দরে ধাক্কিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাঠিয়ে দেয়।
থানা ঘটনাস্থল থেকে দূরে হওয়ায় ওসমান গনি ১৪৪/১৪৫ মামলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার মোবাইলে বার বার কল করেও যোগাযোগ করতে পারেনি। ফের আবার আমি সকাল ৯টার দিকে ওসমান গনি ও তার পুত্রকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর তৈরি করতে নিষেধ করি বিবাদী নুর হোসেন (ফোরক) এর ছোট ভাই ভগ্নিপতি ও তাদের অনুসারীরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকত্য ভাষায় গালিগালাজ করে ওসমান গনি ও তার পুত্র কে হত্যার উদ্দেশ্য করে হাতুড়ি দিয়ে মারধর শুরু করে ওসমান গনি ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পরলে আমার ও তার পুত্রের ডাকচিৎকারে আসে পাসের মানুষ দৌড়ে আসে কিন্তু তাদের থামানোর সাহস করেনি কেউ ওসমান গনির পুত্র পরবর্তীতে ৯৯৯ কল দিয়ে সহযোগীতা চাইলে বিবাদীদের অধিকাংশ অনুসারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আমি ওসমান গনি কে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করে বর্তমানে ওসমান গনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন বলে অভিযোগ করেছন এ্যাডভোকেট হাবীবাহ নাসরিন।
ওসমান গনির পুত্র রিয়াজ বলেন আমাদের উপর হামলার বিষয়ে মামলা দায়ের এর জন্য সকল প্রমাণ নিয়ে বন্দর থানায় গিয়েছি ওসি স্যার ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত ওসি স্যার তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আসস্ত করেছন। জমির উপর ১৪৪/১৪৫ধারা নিষেধাজ্ঞা আদেশের তদন্তের দায়িত্ব থাকা বন্দরথানা পুলিশে কর্মরত অফিসার এসআই মশিউর রহমান এর কাছে মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানান আমাকে ১৪৪/১৪৫ধারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশের তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে আমি সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছি এখন ১৮৮ধারা একটা প্রতিবেদন এসেছে তদন্ত চলতেছে আর মারামারি হাতাহাতির বিষয়ে যদি কোন অভিযোগ মামলা হয় ওসি স্যার যাকে দায়িত্ব দিবেন সে বলতে পারবে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে জানতে পারি ০৭/১০/২১ তারিখ ১৪৪/১৪৫ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্য করে ঘর তৈরি নিয়ে হাতাহাতি মারামারি হয়েছে একজন কে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এর বেশি মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছন এসআই নুর হোসেন যখনই ছুটিতে আসেন কোন না কোন ঝামেলা করবেই মানুষের সাথে এর আগেরবার ছুটিতে এসে বাজারে দোকান নিয়ে মারামারি করে অনেক হয়রানি করেছে এরকম প্রতিবার করে তার ভয়ে তার অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করার সাহস পায়না কেউ এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চায় এলাকার মানুষ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুর হোসেন (ফোরক) এর কাছে জানতে চাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে বার বার কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।