বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ন
করোনা সংক্রামণ রোধে চলমান লকডাউনের ৫ম দিনে বরিশালের সড়কে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েছে। ছোট-খাটো নানান অযুহাতে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন। যদিও লকডাউন কার্যকর করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, টহল ও প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন তারা।
সেইসাথে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিতো মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চলমান অভিযানে আজ সোমবার (০৫ জুলাই) বেলা ১১ টায় বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বরিশাল র্যাব-৮ এর প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি জামিল হাসান।
এসময় র্যাবের কার্যকর পদক্ষেপসহ লকডাউনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন,সরকারি নির্দেশনা জাতির মঙ্গলের জন্য। যেকোন মূল্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। গতবারের চেয়ে এবারে সংক্রমনের হাড় বৃদ্ধি পেয়েছে, আর এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে মারাত্তক আকার ধারন করতে পারে। করোনার সংক্রমন ঠেকানোর জন্য লকডাউন কার্যকর করার সকল ব্যবস্থা আমরা গ্রহন করবো।
আমরা ওই মনোভাব নিয়েই মাঠে নেমেছি। মাঠে পুলিশ,র্যা ব সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। শুধুমাত্র সরকারি নির্দেশনায় যারা বের হতে পারবেন তারাই বের হবে, অন্য কেহ নয়। সরকারি নির্দেশনা না মানলে জরিমানা ও জেল হতে পারে। তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে বড় বড় হাট বাজারগুলোতে আমরা টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছি। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে র্যাবের পক্ষ থেকে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। সেবার লক্ষেই আমরা র্যা বের টহল ব্যবস্থা বরিশাল নগরে বৃদ্ধি করেছি। তিনি বলেন, সড়কে আসা মানুষদের কাছে বাহিরে বের হওয়ার কারন জানতে চাওয়া হচ্ছে। সঠিক উত্তর না পেলে মোবাইল কোর্টে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিটি যানবাহন চেক করার পাশাপাশি সঠিক কাগজপত্রও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এসময় তিনি সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্ববান জানান। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মিজানুর রহমান,স্পেশাল কোম্পানী কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গীর আলমসহ র্যাবের অনান্য কর্মকর্তারা।
পরে তিনি ওই এলাকায় র্যাবের চেকপোষ্টের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নিজেও ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের কাছে কারন জানতে চান। যারা সঠিক ও উপযুক্ত কারণ জানাতে পারেনি, তাদের সতর্ক করার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট সোপর্দ করেন। এসময় বিনাকারণে ঘর থেকে বের হওয়া বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট গাড়িসহ চালকদের ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট সোপর্দ করা হয়।
এদিকে আজও আসাদুজ্জামান নামে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সদস্য হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালনা করার অপরাধে জরিমানাপ্রাপ্ত হয়েছেন। নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় জেলা প্রশাসনের পরিচালিত মোবাইল কোর্ট তাকে তিনশত টাকা জরিমানা করেন। এসময় ওই মোটরসাইকেলটিতে দুজন ছিলেন যাদের কারো কাছেই হেলমেট ছিলো না। এর পাশাপাশি আজও নামসর্বস্ব গণমাধ্যমের স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় র্যা বের চেকপোষ্টে একজনের গতিরোধ করা হয়। পরে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মোটরসাইকেলের সামনের স্টিকার উঠিয়ে রক্ষা পান তিনি।