বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে বরিশালের চেকপোস্টগুলোতে বেশ কড়াকড়ি অবস্থানে ছিলো পুলিশ। নানা অযুহাতে বাইরে বের হয়েও রক্ষা হয়নি অনেকের। ফেরৎ পাঠানো হয় যেখান থেকে এসেছে সেখানেই। এছাড়া গত দুইদিনের লকডাউনের তুলনায় আজ বরিশালের সড়ক বাজারগুলো বাদে অনেকটাই ফাঁকা ছিলো।
এছাড়া আজ থেকে বরিশালের খাবার হোটেল রেস্তোরা বন্ধের সিদ্ধান্ত হওয়ায় সড়কে লোকজনের সংখ্যা কম ছিলো অনেক। শনিবার বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে সকালে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। বরিশালে সরকারি বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থান মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১৮০ টি মামলায় ৩ লক্ষের অধিক টাকা জরিমানা আদায়।
বরিশাল জেলা ও মহানগরীতে ৭ দিনের বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর নেতৃত্বে বরিশাল জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২১ টি মেবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। বরিশাল জেলায় দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১৮০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দন্ডবিধি ২৬৯ ধারার পৃথক মামলায় ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বরিশাল মহানগরীতে ৬ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ৪২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কে বিভিন্ন অপরাধে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। পাশাপাশি বরিশাল জেলার ১০ টি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন ১৫ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি ১৩৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কে পৃথক মামলায় ২ লক্ষ ১৮ হাজার ১০০ টাকার জরিমানা আদায় করেন।
সকালে নগরীর পোর্ট রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী জাবেদ হোসেন চৌধুরী ও ফলপট্রি,বেলতলা খেয়াঘাট, চরবাড়িয়ার ইউনিয়ন বাজারে, ভাটিখানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর জানান । তারা বলেন, মানুষ নানা অযুহাতে বাইরে বের হচ্ছে। সতর্ক করা হচ্ছে। যারা লকডাউন অকারণে অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ২৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ৩৫ হাজার ২শ’ টাকা জরিমানা আদায় করে। অপরদিকে বরিশালের নথুল্লাবাদের চেকপোস্টে দায়িত্বরত বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, নানা অযুহাতে বের হয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। আমরা তাদের আটকে দিচ্ছি, ফেরৎ পাঠাচ্ছি বাসায়। মাস্ক বিতরণ করেছি। অনেকে নানা অযুহাত দিচ্ছেন। যাচাই বাছাই করে ছাড়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা মানাতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।