বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাজীব ফরহান এর নেতৃত্বে অভিযুক্ত ধর্ষন কারী মো,সাইফুল ইসলাম (৪৮) কে আটক করেছে র্যাব -৮।
গত ৩০শে এপ্রিল ২১ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ৩.৩০ মিনিটের সময় পটুয়াখালীর জেলার দশমিনা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।এ অভিযান পরিচালনাকালে আনুমানিক ১.১০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানাযায় যে, পটুয়াখালীর জেলার দশমিনা থানাধীন লিজ বাজার এলাকায় ১ জন ধর্ষনকারী আসামী উক্ত স্থানে অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাজীব ফরহান এর নেতৃত্বে আনুমানিক ৩.৩০ ঘটিকায় উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক ০১ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন।
জানাযায়, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম মোঃ সাইফুল ইসলাম(৪৮)(ধর্ষণকারী), পিতা-মৃত চন্দন হাওলাদার, সাং-দক্ষিণ রনগোপালদী, ০৩নং ওয়ার্ড, থানা-দশমিনা, জেলা-পটুয়াখালী বলে জানায় তিনি । ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায় যে, গৃহপরিচালিকা ভিকটিম ছদ্ম নাম (মোসাঃ জেসমিন খাতুন(৫০)) গত ২৯ শে এপ্রিল ২১ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬:৪০ ঘটিকায় তার বসত বাড়ীর দক্ষিন পাশের মৃধা পুড়ার বিলে চরানো গরুর বাছুর আনিতে যায়।
কিন্ত গরুর বাছুরের কাছে পৌছার আগেই সন্ধ্যা অনুমান ৭:৩০ ঘটিকায় আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৮), ঝাপটাইয়া ধরিয়া ভিকটিমের পড়নের শাড়ী কাপড়ের আচল দিয়া মুখ চাপিয়া ধরে পড়নের শাড়ী কাপড় খুলিয়া ফেলিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং উক্ত স্থান হতে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ধর্ষনকারী কাউকে কিছু না বলার জন্য প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তদপ্রেক্ষিতে ছদ্ম নাম(মোসাঃ জেসমিন খাতুন(৫০) আইনগত সহায়তা চেয়ে র্যাব-৮, পটুয়াখালী ক্যাম্পের নিকট আবেদন করলে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত মোঃ সাইফুল ইসলাম(৪৮)কে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ সাইফুল ইসলাম(৪৮)(ধর্ষণকারী) ঘটনার সাথে নিজের সংষ্টিলতা তার বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে র্যাব সহযোগীতায় ঐ নারী ভিকটিম বাদী হয়ে পটুয়াখালীর দশমিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানাযায়।
এ ব্যপারে পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো,রাজীব ফরহান এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে কাজ করে, এতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিদিনের ন্যায় ভবিষ্যৎও আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।