বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী পৌরসভার টাউন বহালগাছিয়ার ১নং ওয়ার্ডে ২৭শে মার্চ মোবাইল চুরির তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র কাওসার আহম্মেদ জিসান (১৪) ও নুরুন্নাহার বেগম (৩০)। আহতরা দুজন সম্পর্কে মা ও ছেলে এবং টাউন বহালগাছিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা সবুজ হাওলাদারের পরিবার।
গত ২৭ শে মার্চ শনিবার রাত ১০.৩০ মিনিটের সময় এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
এসময় সংঘর্ষে গুরুতর আশংকা জনক অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দু’জনকে। আহতদের মধ্যে জিসানের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। শেবাচিমে প্রাথমিক চিকিৎসায় জিসানের অবস্থার পরিবর্তন না হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, জিসান আশংকা জনক অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৮ মার্চ ২১ ইং তারিখ পটলুয়াখালী সদর থানায় ৩ জন’সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ কে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ রুজু করেন আহত জিসানের চাচা আবুল কালাম হাওলাদার (৪০)। তিনি বলেন, আমার মেয়ে সুমাইয়া বেগমের ব্যবহৃত মুঠোফোন চুরিকরে প্রতিবেশি হাবিব মৃধার ছেলে মুছা মৃধা(২০)। মুঠোফোন ফিরে পেতে ঘটনার দিন ২৭ মার্চ রাত অনুমান ১০.৩০ মিনিটে আমার ভাইয়ে ছেলে আহত জিসান ও তার মা নুরুন্নাহার বেগম প্রতিবেশি হাবিব মৃধার বাসায় গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কথা কাটাকাটির একপর্যায় হাবিব মৃধার ছেলে মুছা মৃধা (২০) এবং হাবিব মৃধা পিতা অজ্ঞাত, সেলিনা বেগম স্বামী হাবিব মৃধাসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন মরিচের গুড়ি ছিটিয়ে দেশীয় অস্ত্র ধারালো বটি ও রট দিয়ে গুরুতর জখম করে। তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের একপর্যায়ে আমরা নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশের ই-শেবা ৯৯৯ কল করি। আমাদের ফোনে পটুয়াখালী থানা পুলিশের এসআই বিপুল সহযোগী ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এবিষয়ে এসআই বিপুল বলেন আমি ৯৯৯ কলের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের উপস্থিতি টেরপেয়ে হামলাকারীরা আস্তে করে গা ঠাকা দেয়। এব্যপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ নেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলেন সংঘর্ষের ঘটনার বিস্তারিত তাৎক্ষণিক ১ নং ওয়ার্ড কমিশনার নিজামকে অবহিত করি। কমিশনার দ্রুত আহতদের চিকিৎসা ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
খোঁজনিয়ে জানাযায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হামলাকারীদের পক্ষে স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক রাজামিয়া দেনদরবার করেন।
উক্ত ঘটনায় সরেজমিন অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে চাঁনচল্যকর সব তথ্য। রাজামিয়া হামলাকারীদে নিকটতম আত্মীয় বলেই বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করেন বলে একাধিক সুএে যানাযায়।
এব্যপারে অভিযুক্তকারী মুছার মামা রাজমিয়ার মুঠোফোন (০১৭০৩-৪৪৮৮০১) নাম্বারে জানতে চাইলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলেন, রাজা মিয়ার নির্দেশ ক্রমে ইতিমধ্যে হামলাকারীরা নাটকীয় ভাবে রক্তাক্ত হয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে যানাযায়। বর্তমানে আহত হতদরিদ্র পরিবার বিচারের দাবিতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারটি প্রতিনিয়ত আতংকে দিনকাটাচ্ছে তাই উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছেন হতদরিদ্র পরিবারটি।