মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
বরিশালে আট বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষন করে হত্যা ও তার মরদেহ গুমের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালুকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: আবু শামীম আজাদ আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত কালু বরিশাল নগরের এয়াপোর্ট থানাধীন কাশিপুরের গনপাড়া এলাকার মৃত ওয়াহাব খানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী সীমা আক্তার প্রতিদিনের মত তার বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শৌচাগার বন্ধ হওয়ায় সে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আসামী কালুর বাড়ির শৌচাগারে যায়। এসময় কালু ওই শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষন করে। এরপরে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে একই এলাকার হালিম মাস্টারের বাড়ির গোরস্থানে ফেলে রাখা হয়। ঘটনার দুই দিন পর ১৩ মার্চ ওই গোরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের মা মাহামুদা বেগম বাদী হয়ে আসামীর নাম উল্লেখ করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান মুকুল আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এই রায় প্রদান করেন।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। আট বছরের শিশু সীমাকে ধর্ষনের অপরাধে মৃত্যুদন্ড, অপহরণের ঘটনায় যাবজ্জীবন এবং লাশ গুমের ঘটনায় ৭ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে আসামীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লক্ষ টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। আভাষের আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, বাদীর পক্ষ হয়ে আমরা এই আইন সহায়তা করেছি। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।