শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
সাইফুল ইসলাম।। মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণ করাতেই প্রকৃত সুখ এবং এর মাঝেই মানুষ বেঁচে থাকে যুগ যুগ ধরে। অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এগুলো মানুষের মৌলিক মানবিক চাহিদা। এগুলোকে যে তার নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করতে পারেন তিনিই মানবিক হতে পারেন।
শত বাধাঁ বিপত্তি পেরিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া একজন সরকারী কর্মকর্তার নাম হল পিজুস চন্দ্র দে। তিনি তারঁ কর্ম এরিয়াতে তারঁ উপর অর্পিত কোন কাজ কখনো কালকের জন্য ফেলে রাখেননি । আমরা দেখেছি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার করে নকলের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন। নদীতে অভিযান চালাতে, ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে, ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ সর্বত্র ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট ছিলেন তিনি। করোনাকালীন লকডাউন বাস্তবায়নে যেমন ছিল অগ্রনী ভূমিকা, তেমনি লকডাউনে বন্দী মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে তারঁ তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। তিনি তার জনগনকে আশ্বস্ত করতে পেরেছিলেন যা জনপ্রতিনিধিরাও করতে পারেনি। সর্বশেষ তারঁ ন্যায় বিচারের মানদন্ডটা তিনি দেখিয়েছিলেন তারঁ অধিনস্ত ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক যখন মাদ্রাসার শিক্ষক লাঞ্চিত হয় তখন। তিনি কোন ক্ষমতার কাছে মাথানত করেননি। তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই তারঁ ন্যায় বিচার দিতে পেরেছিলেন এ থেকে তাঁর মানবিক ইউএনও হওয়ার সব গুলো গুন ভালভাবেই ফুটে ওঠে।
আজ এই মানবিক ইউএনও তারঁ কর্তব্য ও কর্ম সঠিকভাবে সম্পাদন করতে গিয়ে পজিটিভ।
জনগনকে সচেতন,জনগনের সেবা করতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন।
“আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রক্যকে আমরা পরের তরে।।’
এটাই তারঁ ব্রত। তিনি যতদিন বাঁচবেন, ততদিন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। তাতে যত বাধাঁ বিপত্তি আসবে তা দৃঢ় চিত্তে শক্ত মনোবল নিয়ে মোকাবেলা করে যাবেন।
মেহেন্দিগঞ্জের প্রতিটি মানুষের অন্তরে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। প্রতিটি মানুষ তারঁ জন্য মনভরে দোয়া করছেন তারঁ রোগমুক্তির জন্য। আল্লাহর রহমতে তিনি আবার তাঁর মানবিক আচরণে, মানুষের মাঝে সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসবেন এটাই প্রতিটি মানুষের প্রার্থনা।