সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
বরিশালকে লক ডাউন করার দাবী তুলেছেন নগরীর সচেতন মহল। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এবং বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত দুইজন রোগীর মৃত্যু হওয়ায় এই দাবী আরো জোড়ালো হয়ে উঠেছে। করোনা আক্রান্ত যাতে বরিশালে কোনো নাগরিক না হয়, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এই দাবী তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।
জানা গেছে, মাদারীপুরে প্রচুর প্রবাসী থাকা এবং পটুয়াখালী ও বরগুনায় দুইজন করোনায় আক্রান্তের মৃত্যুর পর বরিশালবাসী আতংকের মধ্যে রয়েছে। সচেতন নগরবাসীও বরিশাল জেলাকে লক ডাউন করার দাবী করেছেন। ইতিমধ্যে বরিশাল মেট্রাপলিটন পুলিশ জরুরী ভিত্তিক যান বাহন ছাড়া সব ধরণের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর ব্যক্তিগত মোটর সাইকেল নিয়ে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধেও নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। অপরদিকে এলাকাবাসীর উদ্যেগে নগরীর নাজির মহল্লা এলাকা লক ডাউন করা হয়েছে। যেটাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনের লোকজনও।
বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি পুলক চ্যাটার্জী বলেন, মাদারীপুরে প্রচুর প্রবাসী রয়েছে। যারা আমাদের জেলায় অবাধে প্রবেশ করছে। তাছাড়া মাদারীপুরের শিবপুর আমাদের জেলা থেকে বেশি দুরে নয়। এছাড়াও দুমকিতে নারায়নগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হযে মারা গেছে। তাছাড়া আমতলীতে আওয়ামী লীগের এক নেতাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তার জানাযায় অনেক লোক হয়েছে এবং তার মরদেহ খোলা অবস্থায় ছিলো। আমতলী এলাকা লক ডাউন করা হলেও লক ডাউন করার আগে লোকজন যদি আমাদের জেলায় এসে থাকে তাহলে সেটা আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার। তাই বরিশাল জেলা অনতিবিলম্বে লক ডাউন করা উচিৎ।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু দাবী করে বলেন, বরিশাল তো বিভাগের কেন্দ্রস্থল। তাই এখানে আতংকের কারণ বেশি। এর কারণে অতিদ্রুত লক ডাউন দরকার।
বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা বলেন, বরিশালকে অবশ্যই লক ডাউন করা দরকার। জনসমাগম করে যারা দিচ্ছে সেটাও বন্ধ করা দরকার। এদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে না। অতএব এই এপ্রিল মাস লক ডাউন অবস্থায় যেন বরিশালকে রাখা হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, এক ধরনের লক ডাউন চলছে বরিশালে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে সেটাই আমরা কঠোর ভাবে পালন করছি।
source : hello barishal