শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
মেঘনা নদীতে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহতসহ আহত হয়েছেন ৮জন। এর মধ্যে নিহত দুজনসহ আহত আরো তিনজন কীর্তণখোলা ১০ লঞ্চের যাত্রী। বাকি আহতরা ফারহান ৯ লঞ্চের যাত্রী। কীর্তণখোলা ১০ লঞ্চটি লঞ্চটি দুমড়ে মুচরে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ থানার ওসি আবু তাহের ও কীর্তণখোলা ১০ লঞ্চের মাস্টার নুরুল ইসলাম।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটের মাঝেরচর এলাকায় ঘন কুয়াশার কারনে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে।
জানা গেছে, কীর্তণখোলা ১০ লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দর থেকে রাত ৯টার দিকে ৭শত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং ফারহান ৯ লঞ্চটি ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়ার হুলারহাট যাচ্ছিলো। লঞ্চ দুটি মাঝেরচর এলাকায় পৌছলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কীর্তণখোলা লঞ্চের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কীর্তণখোলা ১০ লঞ্চের ম্যানেজার ঝন্টু জানান, ফারহান লঞ্চটির কোনো রাডার না থাকায় কুয়াশার মধ্যে কীর্তণখোলা লঞ্চটির মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দিলে লঞ্চের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়াও আমরা শুনতে পেরেছি দুইজন নিহত হয়েছে এবং আহতও রয়েছে অনেক, তবে নিশ্চিত হতে পারছি না। লঞ্চের কেউ ফোনও ধরছে না।
লঞ্চটির ম্যানেজার মো: বেলাল জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফারহান ৯ লঞ্চ মেঘনা নদীর মাঝেরচর এলাকায় পৌছালে কুয়াশায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে কীর্তণখোলা লঞ্চের দুই যাত্রী নিহত ও তিন যাত্রী আহত হন। আহতদের চাঁদপুরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। কীর্তণখোলা ১০ লঞ্চটি দুমড়ে মুচরে গেছে। তবে তলদেশ অক্ষত থাকায় সেটি ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা করেছে।
অপরদিকে ফারহান ৯ লঞ্চের কেরানী মো: আল আমিন জানান, কুয়াশার কারণে তাদের লঞ্চ দুর্ঘটনা কবলিত হয়। ফারহান লঞ্চেরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। এই লঞ্চে ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকারকে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।