বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
নারী কেলেঙ্কারি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ ২১টি অভিযোগে অভিযুক্ত বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারি সৈয়দ বজলুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুলকে গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর কলেজের গভর্নিং বডি কর্তৃক করা সাময়িক বরখাস্ত বহাল রেখেছে আদালত।
বুধবার আদালত থেকে পাওয়া কাগজের সূত্র মতে জানা যায়, বাইশারি সৈয়দ বজলুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুল তার বহিস্কারাদেশ অবৈধ ব্যাখ্যা দিয়ে বানারীপাড়া সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ মুকুল কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিসহ মোট ২৪ জনের নাম উল্লেখ করেন। অধ্যক্ষ মুকুলের দেওয়া এই মামলার বিপক্ষে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বিভিন্ন তথ্য ও প্রমান প্রদান করেন আদালতে। সকল প্রমান ও কাগজ পত্র বিবেচনা করে বানারীপাড়া সহকারী জজ আদালতের বিচারক মামলাটির গ্রহনে যোগ্যতা না থাকায় দোতরফা শুনারীতে খারিজ করে দেন।
এর ফলে গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর কলেজ গভর্নিং বডি কর্তৃক করা সাময়িক বরখাস্ত বহাল রাখে আদালত। ২ জানুয়ারি এই রায় ঘোষনা করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হবার পরেও অধ্যক্ষ মুকুল এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওবায়দুল হককে লাঞ্চিত করে জোড় পূর্বক কলেজ অধ্যক্ষ হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। এতে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এছাড়া অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুলকে স্থায়ী ভাবে অপসারনের জন্য এলাকাবাসী এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলাম মুকুল এর সাথে অন্য একটি কলেজের নারী লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর নারী লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে অধ্যক্ষ কাজী মিজানুল ইসলামের অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়। সেই সঙ্গে আপত্তিকর ওসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। এতে কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।