মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:২৩ অপরাহ্ন
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এমএ আজাদের (সজল) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মোবাইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি কোতোয়ালি) মো. রাসেল।
তিনি বলেন, মমতা হাসপাতালের নয় কর্মীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্ত ও বিভিন্ন আলামত উদ্ধারে থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই এবং সিআইডি পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে লিফটের নিচ থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার!
মঙ্গলবার সকালে নগরের কালিবাড়ি রোডের মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ডা. এমএ আজাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের স্বরুপকাঠিতে। তার পরিবার (দুই সন্তান ও স্ত্রী) ঢাকায় থাকে। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরির জন্য তিনি বরিশালেই থাকতেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের পাশাপাশি মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের সাততলার একটি কক্ষে (ডরমিটরিতে) বছরখানেক ধরে বসবাস করতেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সেহরির সময় তার স্ত্রী ঢাকা থেকে ফোনে যোগযোগ করে না পাওয়ায় মমতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার রুমে তালা দেওয়া দেখে পুলিশে খবর দেয়। সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই কক্ষের তালা ভাঙা হয়। সেখানে তার চশমা ও মোবাইল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর খোঁজাখুঁজি করে হাসপাতালের নিচতলায় লিফটের নিচে তার মরদেহ দেখতে পান মমতা হাসপাতালের এক কর্মী।