বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ন
মো: আরমান শেখ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ১ম এবং ২য় পর্যায়ের মুজিব বর্ষের গৃহে পুনর্বাসিত উপকারভোগীর জীবনমান বদলে যাওয়ার গল্প। এখানে ঘর পাওয়া পরিবার সমূহের কারোরই মাথা গোঁজার স্থায়ী কোন ঘর ছিলোনা।
বর্তমানে তারা নিজেদের স্থায়ী ঘর পেয়ে ফুলের বাগানের মতো সাজিয়ে তুলেছেন তাদের ঘর-আঙিনা-উঠোনের আশেপাশের সমস্ত যায়গা। নতুন করে শুরু হয়েছে তাদের স্বপ্ন বুণনের কার্যক্রম। তাদের সকল নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং তাদের সন্তানাদির শিক্ষার ব্যবস্হাকরণসহ বিশুদ্ধ খাবার পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ, স্যানিটেশন এবং সকলের কর্মসংস্থানসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতার সকল সুবিধাদি নিশ্চিত করে তাদের কে অর্থনীতির মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে সংশিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে।
এভাবেই ১ম ও ২য় পর্যায়ের ন্যায় ৩য় পর্যায়ে সারাদেশব্যাপী চলছে আরো ৬৫ হাজারের অধিক বদলে যাওয়ার গল্প বুণনের কাজ। আর এ কাজে সার্বক্ষণিক সরাসরি সরেজমিনে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন ও তার টিম। মোঃ আলাউদ্দিন বলেন ডিসি স্যার ও ইউ এন ও স্যারের নির্দেশনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছি। যখন দেখি দরিদ্র পরিবারগুলো নিজের বাসস্থানের একটা স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছে তখন নিজের কষ্ট স্বার্থক মনে হয়।
ক্রাইমসীন ২৪ প্রতিনিধি আরমান শেখ গোপিনাথপুর ইউনিয়নের স্বপ্ননিবাস আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৬৩নং ঘরের রিজিয়া বেগম এর সাথে কথা বলে জানান, রিজিয়া বেগম স্বামীহারা একজন বাকপ্রতিবন্ধী। এক ছেলে এবং ১ মেয়ে নিয়ে এখানে ওখানে ভাড়া বাড়িতে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরী করে কোন রকমে চলছিলো জীবন সংগ্রাম।মুজিববর্ষের ঘরে যখন তিনি পরিবারসহ উঠলেন তখন তিনি যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন।
বাড়িতে উঠে মেয়ের বিয়ে দিলেন। ভাড়ার ১০০০/১২০০ টাকা বেঁচে যাওয়ায় তিনি তার ছেলেকে নিয়ে শুরু করলেন কাগজের ঠোঙ্গা ( মিস্টির প্যাকেট, কার্টুন) বানানোর কাজ। সেই সাথে আঙিনা ও ঘরের আশেপাশের ফাঁকা জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে দিব্বি চলে যাচ্ছে তার জীবন সংগ্রাম। হালিম সিকদার ও সাহেরা বেগমের ঘটনাটি আবার একটু মর্মান্তিক। বিশ্বরোডের পাশের সি এন্ড বির খাস জায়গায় কোন রকমে একটা ছোট্ট ঘরে নাতি-নাতনিদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এ ঘরে উঠে এখন তার চোখে নতুন স্বপ্ন।
তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নতুন জীবন দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রীর জন্য। গোপালগন্জ জেলার সদর উপজেলার মতো সারাবাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দিন বদলের এমন হাজারো গল্প।১ম ও ২য় পর্যায়ের ১ লক্ষ ১৮ হাজার গৃহ নির্মানের পর ৩য় পর্যায়েও সারাদেশব্যাপী চলছে আরো ৫৪ হাজারের অধিক বদলে যাওয়ার গল্প বুণনের কাজ।