মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
বরিশাল জেলার অন্তর্গত বানারীপাড়া উপজেলার কুন্দিহার গ্রামের সাধারণ মানুষকে জমির ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত হয়রানি করছে ভূমিদস্যু আলম মৃধা। জানা যায় উক্ত আলম মৃধা মূলত নিজের নামে এবং তার স্ত্রীর নামে ভুয়া রেকর্ড করা কাগজ দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বায়নাপত্র করার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ভুক্তভোগিরা টাকা ফেরত চাইলে তাদের নামে ভূয়া কাগজের নামে হয়রানি এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় স্থানীয় চিহিদ্ধত ইঘচ বিনৈপির সন্ত্রাসী এবং ক্যাডারদের দ্বারা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় উক্ত সামছুল আলম মৃধা, পিতা-মৃত মজিদ মৃধা, থানা-বানারীপাড়া, গ্রাম-কুন্দিহার, বরিশাল, তার স্ত্রী মমতাজ বেগমের নামে বিভিন্ন জাল এবং অনৈতিক উপায়ে কাগজপত্র তৈরী করে সে ভুক্তভোগীদের নামে মামলা, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে টাকা দাবি করে।
আসলে সে যেসব কাগজপত্র দেখিয়ে মামলা করে কিংবা টাকা দাবি করে সে কাগজপত্র জাল কিংবা অসুদোপায় অবলম্বন তৈরী করা, বাস্তবে কোনো জায়গা নাই। উল্লেখ থাকে যে, সে তার স্ত্রী মমতাজ বেগমের নামে ৫ জমি শতাংশ ভূয়া রেকর্ড করিয়েছে। জেএল নং-৭৪, মৌজা-কুন্দিহার, সূচিত খতিয়ান নম্বর ৮৭০ (যা ২৬১ নং খতিয়ান থেকে আগত)। যা আউয়াল মৃধার কাছ থেকে ক্রয় করেছে বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু দেখা গেছে আউয়াল মৃধার (দাগ নং-৪১১/৪৫৬/৪৫৫ এ তিন দাগে আউয়াল মৃধার সম্পত্তি ছিলো মোট ১১৫ শতাংশ। যা ৪৫৫ দাগে ২ শতাংশ সিকিস্তি, ৪৫৬ দাগে ১০৪ শতাংশ, ৪১১ দাগে ৯ শতাংশ। যার মধ্যে জনাব আউয়াল মৃধা বিক্রি করেছে কাসেম মাস্টারের কাছে ৩২ শতাংশ, আব্দুল মজিদ ডাক্তারের কাছে ১৪ শতাংশ, সাহিদা মাহমুদের কাছে ১০ শতাংশ, আবুল হাশেম মিয়ার কাছে ১২ শতাংশ, ওয়াহেদ চাকলাদারের কাছে ২২ শতাংশ (মোট ৯০ শতাংশ)। এছাড়া ৩৩.৭৫ শতাংশ জমি টিএন্ডটি বোর্ড অধিগ্রহণ করে (যা ৪৫/১ খতিয়ানে উল্লেখ আছে) এবং জনাব আউয়াল মৃধা তা থেকে সরকারীভাবে টাকা উঠায়। তাতে দেখা যায় মোট (৯০+৩৩.৭৫)= ১২৩.৭৫ শতাংশ জনাব আউয়াল মৃধা বিক্রি এবং অধিগ্রহণকৃত টাকা সরকার থেকে উত্তোলন করে। যা সব রেকর্ড রয়েছে ভূমি অফিসে।
মূলত তার বা তার স্ত্রী মমতাজ বেগমের কোনো জায়গা নেই। সে ২৬১ নং খতিয়ানে উল্লেখ করে যে জনাব আব্দুল আউয়াল মৃধার নিকট থেকে ক্রয় করেছে। কিন্তু দেখা যায় জনাব আব্দুল আউয়াল মৃধা তার নামে থাকা জমির চেয়েও ৮.৭৫ শতাংশ আগেই বেশি বিক্রি করেছে। অতএব জমি না থাকতেও কিভাবে মমতাজ বেগম উক্ত জমি ক্রয় করলো কিংবা রেকর্ড করলো এটাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন।
ঐসব ভৃয়া জমির কাগজ দৈখিএয় খালেক খান, দেলোয়ার হোসেন, সাজ্জাদ পারভেজ, হাশেম খান প্রমুখ ব্যক্তিদের কাছ থেকে জমি না থাকলেও লিখিত চুক্তির মাধ্যমে টাকা গ্রহন করেছে বলে জানা যায়। এছাড়া কিছুদিন আগেও বানারীপাড়ার এক মুক্তিযোগ্ধার জায়গা দখলের অপেেচষ্টা করেছে যা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। পরে তার জমি ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
সে স্থানীয় ইঘচ সন্ত্রাসী এবং শক্তিশালী চিহ্নিত জমির দালালদের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকাবাসীকে হয়রানি করছে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।