শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি।।
ভোলার সদর উপজেলার দঃদিঘলদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে কাজী বাড়ির জমিজামা সংক্রান্ত বিষয়ে পূৃর্বশত্রুতার জেরধরে গৃহবধূ তাসলিমা বেগম(৩৫) স্বামি:মোঃ শহিদুল ইসলাম কাজীর গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করেছে বাড়ির প্রতিপক্ষ বাচ্চু কাজী গংরা।
আহত তাসলিমা বেগম তার জবানবন্দিতে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান,গত (১৩অক্টোবর) দুপুর ৩-ঘটিকার সময় নিজ বাড়ির দঃদিঘলদীর জমির খতিয়ান নং(৫৯) ও ২৯৭/২৯৯/৩১৪ দাগের বাগান থেকে জোড়পূর্বক সুপারি পাড়াকে কেন্দ্রকরে তাহাকে আহত করার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার এক বর্ননায় সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন যাবত তাদের সাথে জমিজামা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিষয়টি দঃদিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান এর নিকট পারিবারিক ইউনিয়ন পরিষদে এখনো বিচারাধীন রয়েছে। তাসলিমা আরো বলেন এর আগেও কয়েকবার একই পতিপক্ষ তাদের বাড়ির পুকুরের মাছ ও বসতবাড়ি গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে অভিযুক্তদের ক্ষমতার আদিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে।
তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের বিচারকে উপেক্ষা করে তারা গত (১৩ অক্টোবর)তাহার স্বামির অনুউপস্থিতি টেরপেয়ে নিজ বাড়ির বাগানে সুপারি পাড়াকে কেন্দ্রকরে তাসলিমা আক্তারকে,পতিপক্ষ বাচ্চু কাজী,পিতা,মৃত আবদুল লতিফ,মোঃ ফরিদ কাজী,পিতা,মৃত আইয়ুব আলী কাজী,হানিফ কাজী,ফরিদ কাজীর ছেলে সাকিব এবং বাচ্চু কাজীর দুইপুত্র নোমান ও মেহেদি বাবলু,শামিমসহ অজ্ঞাতনামা কয়েজন জোড় পুরবক তার গাছের সুপারি পাড়ে।
একপর্যায় তাসলিমা বেগম তাদের জিজ্ঞেস করতে গেলে বাচ্চু কাজী সহ উপরোক্ত সবাই তাহার উপর লাঠিসোটা নিয়ে ঝাপিয়ে পরে এবং তাদের লাঠি দারা তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে প্রধান অভিযুক্ত বাচ্চু কাজী তাহার হাতে থাকা সুপারি পাড়ার ধারালো দা দারা তাহাকে কুপিয়ে যখম করে।এময় তাহার গলায় থাকা ১২আনা ওজনের একটি চেইন হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। একপর্যায় তাসলিমা বেগমের ডাক চিৎকারে স্থানিয় বাড়ির লোকজন ছুটে আসতে দেখে প্রতিপক্ষের সবাই স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন এই গৃহবধূ।
পরে বাড়ির আত্মীয় স্বজনরা তাসলিমাকে ঘটনাস্থল থেকে গুরতর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে, মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক দায়ের আঘাতে তাহার পায়ের গুরুতর ক্ষত জখম হলে ৫টি সেলাই করার মাধ্যমে তাহার ব্লাডিং বন্ধ করেন বলে জানান চিকিৎসক। তাছাড়া তাহার শরিরে বিভিন্ন অংশে ফুলা জখমের আঘাতের কারনে চিকিৎসক তাহাকে গুরতর অবস্থা সনক্ত করে চিকিৎসাসেবা দিয়ে ভোলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভর্তি রাখার পরামর্শ প্রধান করেন। বর্তমানে তাসলিমা বেগম সার্জারি ওয়ার্ডের ৬৪ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এব্যপারে প্রধান অভিযুক্ত বাচ্চু কাজীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,এবিষয়ে বিস্তারিত পরে আলাপ করবেন বলে তাহার মোবাইল ফোন কেটে দেন।
এদিকে উক্ত ঘটনাটি ব্যাপারে দঃ দিঘলদী ১নং ওয়াডের ইউপি মেম্বার মোঃ কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এব্যাপারে সাক্ষি প্রমানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্থানিয় শালিশী গ্রহন করবেন বলে জানান।
এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েত হোসেন জানান,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন জানান তিনি।