বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলে পদপঞ্চিত নেতাদের দৃষ্টি এখন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক এবং সহ-সাংগঠনিক পদ পেতে লবিং শুরু করেছেন তারা। তবে এ লবিংয়ে পিছিয়ে নেই জেলা ও মহানগর কমিটিতে পদ পাওয়া নেতারাও।
শুধুমাত্র বরিশাল জেলা এবং মহানগর নয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেতে জোর লবিং চালাচ্ছেন বরিশাল বিভাগের অপর ৬টি জেলার এক ডজনের বেশি নেতা। তবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবি তুলেছেন তৃনমুলের নেতারা।
জানাগেছে, দীর্ঘ বছর পরে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে ফয়জুর রহমান খোকন সভাপতি ও ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। তাই এরই মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ পূণর্গঠন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এবারের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আয়োতন বিগ কমিটির থেকে অনেক ছোট হবে। ইতিপূর্বে সাত শতাধিক সদস্য’র এই কমিটি নিয়ে আসা হচ্ছে ১৭১ সদস্য’র মধ্যে। যে কারনে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় সম্পাদকিয় পদ অধিকাংশ বাতিল হচ্ছে।
বিশেষ করে সহ-সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক ও সহ-সাধারণ সম্পাদকের পদ থাকছে না। এসব পদ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মুল দলের ফরমেট অনুযায়ী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদ রাখা হচ্ছে। এমন নিয়ম বহাল থাকলে সকল বিভাগ থেকে দু’জন করে ছাত্র নেতা পদ পবেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে।
এদিকে কেন্দ্রের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক পদ পেতেই লবিং-তবির শুরু করেছেন জেলা ও মহানগরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ছাত্রদলের নেতারা। বিশেষ করে হারানো সম্মান ফিরে পেতে জোর লবিং চলছে বরিশাল জেলা ও মহানগরের পদ বঞ্চিত নেতাদের।
বঞ্চিতদের তালিকায় উঠে আসছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সুজনসহ কয়েক জনের নাম। তার সাথে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুর আলম মিঠু,বরিশাল জেলা ছাএদলের সিনিয়র সহ সভাপতি তারেক আল ইমরান মহানগরের সভাপতি রেজাউল করিম রনি এবং জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করা সোহেল রাঢ়ী,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি রেজা শারিফ ,সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান হাসিব।
এদের মধ্য থেকে দুজনকে বেছে নেয়া হতে পারে , তবে সাইফুল ইসলাম সুজনের নামটি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ( বরিশাল বিভাগ) জোরেশোরে শোনা যায়,, সুজনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছি তার ধারাবাহিকতায় আমি বরিশাল জেলা ছাত্রদল সভাপতি প্রার্থী ছিলাম দুর্ভাগ্যবশত আমি পদবঞ্চিত হয়েছি, তারপরও রাজনৈতিক মাঠ থেকে সরে দাঁড়ায়নি দলীয় প্রতিটি কর্মকাণ্ডে পদ বিহীন থাকা অবস্থায় আমি অংশগ্রহণ করেছি | আর আমি যেহেতু পথ বিহীন সে ক্ষেত্রে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত ভোটের মাধ্যমে যে কমিটি গঠিত হয়েছে তারা আমার প্রতি সুবিচার করবেন এবং আগামী দিনে বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রদলের রাজনীতিকে একটি প্ল্যাটফর্ম এবং দীর্ঘ কমিটি গঠিত না হওয়ার যে প্রবণতা, ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন এবং থানা আছে তা থেকে বের হওয়ার জন্য কমিটিকে আমি সহযোগিতা করতে পারব এই মানসিকতা থেকে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে বিভাগ থেকে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা অনুযায়ী আমি মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে পারব আর সে দিক থেকে আমি আশাবাদী ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নবগঠিত কেন্দ্রীয় সভাপতি সম্পাদক আমার প্রতি সুদৃষ্টি দিবেন আমার বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামকে আমার যে ভূমিকা ছিল তাদের কাছে জোর দাবি আমার থাকতে পারে আমি তাদের কাছে আমার কাঙ্খিত পদ আমি দাবি করতে পারি আশা রাখি|
এদের বাইরে মহানগর ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত আরও কয়েকজন নেতা লবিং করছেন কেন্দ্রীয় কমিটির পদের জন্য। তবে এ ক্ষেত্রে তাদের বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রের পদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও বয়স এবং বৈবাহিক অবস্থা তাদের পুনরায় বাঁধা হয়ে দাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কয়েকটি সূত্র।
বরিশাল জেলা এবং মহানগরের বাইরে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের পদ বঞ্চিতদের পাশাপাশি পদে থাকা নেতারাও চাচ্ছেন কেন্দ্রের পদ। বিশেষ করে পটুয়াখালীর সভাপতি শফিউল বাশার উজ্জল,ভোলা জেলার সভাপতি নূরে আলম, সম্পাদক , বরগুনার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রনি, ঝালকাঠির সভাপতি আরিফুর রহমান খান ও পিরোজপুর জেলা ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেলে নাম শোনা যাচ্ছে লবিং আলোচনায়।