বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন
নগরীর হাসপাতাল রোড ল’কলেজ কম্পাউন্ডে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত উজ্জল দাস এর পরিবার মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ১ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সন্ত্রাসী সজল ভূইয়ার গ্রেফতারের দাবীতে।
উজ্জলের মা অঞ্জলী রানী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠকালে বলেন আমার ছেলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে লাইভ সাপোর্টে আছে, বর্তমানে জীবন শংকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু সজল ভূইয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন খোঁজখবর নেয়নি। মামলা করার পর পুলিশও আসামী ধরছে না। এসময় অঞ্জলী রানী আরো বলেন, একাধারে আমরা সংখ্যালঘু অপরদিকে সন্ত্রাসী সজলের ভাই মিলন ভূইয়া বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় আমরা এই জঘন্যতম মর্মান্তিক ঘটনার বিচার পাচ্ছি না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উজ্জলের দুই বোন শান্তা দাস , অর্পিতা দাস ও ভগ্নিপতিদ্বয় এবং নারীনেত্রী ডা: মনীষা চক্রবর্তী ও হেলেন রহমান।
অঞ্জলী রানী আরো বলেন, আমরা হতদরিদ্র। ইতোমধ্যে ধার-দেনা করে উজ্জলের চিকিৎসার জন্য ৭ লক্ষ্য টাকা ব্যয় করেছি। কিন্তু কেউ আমাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবহিত করা হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক এ্যাড. তালুকদার মো: ইউনুস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, এবিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারিনি।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. মিলন ভূইয়া বলেন, সজল আলাদা থাকে। তার ঘর সংসার আছে। সে কি করেছে সে দায় আমার না।
উল্লেখ্য, ৬ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮টায় ল’কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বসে সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী সজল ভূইয়া উত্তম দাসের কাছে ৫’শ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দেয়ায় উত্তমকে মারধর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বড় ভাই উজ্জল দাস জিজ্ঞাসা করতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে সজল তাকেও লাঠি দিয়ে এলোপাথারী শরীরের বিভিন্নস্থান সহ মাথায় আঘাত করে। আঘাতের ফলে উজ্জল ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে তাকে শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে ৭সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়। বর্তমানে উজ্জল সেখানে লাইভ সাপোর্টে রয়েছে।
এই ঘটনায় ১২ সেপ্টেম্বর-২০১৯ বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় উজ্জলের মা অঞ্জলী রানী একটি মামলা দায়ের করেন।