শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, এস আল-আমিন পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নে যৌতুক মামলা করায় পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সুমি নামের এক গৃহবধূ ।
মামলার পর থেকেই আসামিদের হুমকির মুখে পড়েছেন ভুক্তভোগী সুমি (১৯) ও তার পরিবার।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শিকার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে. এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সুমি বাদী হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১’ম আদালতে তিন জনের বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা করেন, (মামলা নং- সিআর ১৬/২০২৪)। মামলা সুত্রে, আসামি (১). সুমন, (২). রুহুল আমিন, (৩). কোমেলা বেগম।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। উক্ত মামলায় আসামি সুমন ও কোমেলা বেগম গ্রেফতার হয়ে জেল হজতে ছিলেন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সুমি বলেন, আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আসার পর আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা গুম ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
এমনকি বহিরাগত লোকজন দিয়ে সুমির পিতা সাইদুল ইসলাম কে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলে তোর মেয়েকে কৌশলে নিতে পারলে আর খুজে পাবিনা গুম করে ফেলবো। বর্তমানে পুরো পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আইনগতভাবে ব্যবস্থা ও মামলার সু-বিচার চায় ভুক্তভোগী পরিবার।
এর আগে, ‘আসামি সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তা থেকে ইট তুলে মাথায় আঘাত করে। সুমির পিতাঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জামাই সুমন তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং বিভিন্ন সময় আমার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।
শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও নির্যাতনের পরিমান আরও বেড়ে যায়। সুমিকে শশুর বাড়ির লোকজন জোর পুর্বক আটকে রেখে মুক্তিপন হিসেবে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমি টাকা দিতে না পারায় অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে।
স্থানীয়ভাবে কোন সমাধান না পেয়ে আসামিদের হাত থেকে জীবম বাঁচাতে বাধ্য হয়ে বিচারের জন্য আদালত মামলা করে সুমি ।
কিন্তু মামলা দায়েরের পর থেকে আমাদের পরিবার চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে।তিনি আরও বলে দিনমজুর গরীব বলে কি অন্যায়ের বিচার পাবোনা বিজ্ঞ আদালতের কাছে সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছেন তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসামি সুমন ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলেন, ‘আমার স্ত্রী যদি আসতে চায় আসবে, নইলে কাবিনের একটা টাকাও দিতে পাবে না। আগে আসুক পরে কি করা লাগবে দেখা যাক।
সে আরও বলে খালাতো ভাইয়ের সাথে পরকীয়া রয়েছে বলে তার সন্দেহ। মামলায় জেল খেটেছে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে আসামি সুমন ও তার মা কোমেলা। এবিষয়ে সুমনের মা আসামি মোসা. কোমেলা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে যা বলবে সে মতোই হবে।
আমাদের কথা মেনে না নিলে তাকে ঘরে তোলা সম্ভব হবে। সুমি ও তার পরিবার প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।