মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও দুই লাখ টাকা লুট জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কলাপাড়ায় বিদ্যুৎতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু জুলাইয়ের স্পিরিট কে বেহাত হতে দেয়া যাবেনা ।। ডি আই জি মঞ্জুর মোর্শেদ বাংলাদেশে মানুষ আর বিভেদ দেখতে চায় না।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমা বাউফলে একই রাতে বসতঘরসহ ১১টি প্রতিষ্ঠানে চুরি পটুয়াখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গাঁজা, অস্ত্র, বিভিন্ন বাহিনীর পোষাক সহ গ্রেপ্তার ১ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি হাতে গৃহবধূকে হ/ত্যা/র অভিযোগ পটুয়াখালীতে যৌতুক মামলার আসামিরা জামিন পেয়ে বাদীকে-গুম ও হত্যার হুমকি মহিপুরে কোস্টগার্ডের অভিযানে অবৈধ ২টি ট্রলিং বোট সহ ৮ জেলে আটক ট্রলারডুবির ৮ দিন পরে সৈকতে ১ জেলের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ-৪ কলাপাড়ায় ডেঙ্গু রোধে ময়লার ভাগারে ইউএনও’র অভিযান বাউফলে বালু ভ‌র্তি কারগো নি‌য়ে ব্রিজের নিচ দি‌য়ে যাওয়ার সময় শ্রমি‌কের দেহ থে‌কে মাথা বি‌চ্ছন্ন কলাপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত
কলাপাড়ায় মরা খালে দখলদারের ছোবল

কলাপাড়ায় মরা খালে দখলদারের ছোবল

Sharing is caring!

কলাপাড়া(পটুয়াখালীঃ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি মরা খালে দখলদারের ছোবল পড়েছে। চলছে বসতবাড়িসহ পুকুর করার কাজ। উপজেলার গামৈরতলা গ্রামের দৃশ্য এটি। এখনও বর্ষাকালে কোমর সমান পানি থাকে খালটিতে।

স্থানীয়ভাবে কেউ এ খালের নাম জানেন না। তবে পাখিমারার খালের সঙ্গে সংযোগ ছিল এক সময়। কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়ক নির্মাণে খালটির পানির প্রবাহ থমকে যায়। তবে এখনও রাস্তার দুইদিকে থাকা খালের অংশ দিয়ে বর্ষায় বিলের পানি ওঠানামা করছে খালটি দিয়ে।

কিন্তু এখন খালটি নিশ্চিহ্নের শঙ্কায় পড়েছে। বলতে গেলে খালটির মৃত্যুর শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খালপাড়ের বাসীন্দা হানিফ তালুকদার জানান, পাখিমারার খালের সঙ্গে ডলমুইয়া খালের সংযোগ ছিল এ খালটির।

নেয়ামতপুর গ্রামের দিকের অংশ ভরাট হয়ে বিলের কৃষি জমির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। বাকি গামইরতলার অংশ যতটুকু রয়েছে সেখানে এখনও বর্ষায় কোমর সমান পানি থাকে। বিলের পানি ওঠা-নামা করে। কৃষি কাজের জন্য এটি রক্ষা করা প্রয়োজন।

স্থানীয়দের দাবি প্রথমত রাস্তা করায় এ খালটির পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে ইসলামপুর গ্রামের হাবিব গাজীর নামে চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। তখন প্রবহমান খাল ছিল।

ভূমি অফিস প্রথম দায়ী খালটি নষ্ট করার জন্য। বন্দোবস্তগ্রহীতা এতকাল চুপচাপ ছিলেন। এখন ভরাট করছেন। করছেন বাড়িঘর। স্থানীয়দের দাবি খালটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক। অভিযুক্ত হাবিব গাজী জানান, তিনি ২৭-২৮ বছর আগে  দেড় একরের কার্ডে (বন্দোবস্ত) খালের এ জমির মালিক হয়েছেন।

আর পানি চলাচলে কোন সমস্যা হবে না বলেও দাবি করেন। তবে ২৭-২৮ বছর আগে পানিতে পরিপূর্ণ থাকা খালকে কীভাবে চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত নিয়েছেন- এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আরাফাত হোসেন জানান, সরকারি খাল দখল-ভরাট কোন ক্রমেই গ্রহনযোগ্য নয়। খাল না থাকলে কৃষি উৎপাদন ভয়াবহ সংকটে পড়বে। এটি প্রতিরোধ করতে হবে।

তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, তিনি সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। খাল রক্ষায় বাঁধ অপসারণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অন্যায়ভাবে খাল কিংবা খাস জমি দখলের সুযোগ নেই। তিনি এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া।

১২-০৩-২০২৫

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD