শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
বরিশালে ষষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি উভয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়রেপোর্ট ধানাধীন আরজীকালিকাপুর এলাকার সেন্টু খার ছেলে মনির খা (২৭) ও কালাম মীরার ছেলে রুবেল (২৬)।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষনা করেন।
রায় ঘোষনার সময় মনির উপস্থিত থাকলেও রুবেল পলাতক ছিলো বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি স্পেশাল পিপি ফয়েজুল হক ফয়েজ।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই সন্ধ্যার পরে আরজীকালিকাপুর এলাকার খলিলুর রহমান ঘরামীর ১১ বছরের মেয়ে ও আরজীকালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মুক্তা নিজ ঘরের পাশেই বান্ধবী সুমির বাসায় টেলিভিশন দেখতে যায়।
এরপর সে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন ২৯ জুলাই সকালে মুক্তার মা রুশিয়া বেগম তাদের লাকরির ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। থানা পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে পুলিশ ধর্ষন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমান পায়।
পুলিশের ধারনা মুক্তাকে ধর্ষন করে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এয়ারেপোর্ট থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমান ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
যে মামলার তদন্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আল মামুন উল ইসলাম ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দন্ডপ্রাপ্ত রুবেল ও মনিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
আদালত ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আজ এ রায় ঘোষনা করেন।