বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে জজের ড্রাইভার পরিচয়ে এলাকায় রাজত্ব কায়েম করছে জলির রাঢি।,প্রতিবেশী জমির মালিককে হয়রানি ও জোর পূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আব্দুস ছোবাহান ও তার পরিবার।
অদ্য (১৭ ডিসেম্বর) রোজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আব্দুস সোবাহান বলেন, গত ৩০ জুন ২০১৮ সনে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, প্রিন্সিপাল অফিস, পটুয়াখালী থেকে অফিসার (ক্যাশ) পদ মর্যাদায় অবসর গ্রহণ করি।
অবসর গ্রহণের টাকা দিয়ে গত ১১ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখ জেলা ও থানা সদর সাব রেজিঃ অফিস পটুয়াখালীর অধীন হাল ২০নং তৌজির মালিক দখলদার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সহকারী কমিশনার ভূমি পটুয়াখালী, সাং পো: থানা ও জেলাঃপটুয়াখালী পৌরসভার অন্তর্গত জে,এল, নং ৩৮ মৌজা পটুয়াখালী, এস.এ. ৬৪২ নং খতিয়ান থেকে ৩২৬, ৪১৩, ২৬৫৬ ও ২৬৫৭ দাগে মোট ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি। যার বাজার মূল্য ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা।
দলিল নং ৬৭৯৮ দাতাগন আপসমতে ৩২৬ দাগ দিয়ে ভোগদখল করার জন্য ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে আমাকে বুঝিয়ে দেয়। ২০২২ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারী আমি ঐ জমিতে গৃহ নির্মাণের জন্য গেলে উপরোক্ত বিবাদীগণ এবং আরো ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আমার কাজে বাঁধা দেয়।বিষয়টি থানায় অবিহিত করলে, এস.আই এবং ২ (দুই) জন কনস্টেবল ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে।
জলিল রাঢ়ী পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের স্পেশাল জজের ড্রাইভার পরিচয় দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে ধমক দেয় ৷
তারা জজ কোর্টের ড্রাইভারের তোপের মুখে পরে চলে যেতে বাধ্য হয়। বর্তমানে সে জেলা জজের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে।। স্বৈর সরকারের আমলে যেভাবে প্রভাব খাটাতো এখনও সে সেভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে তার দাপট। আমি অসহায় অবস্থায় জমি থেকে চলে আসি। পরবর্তীতে আমি বাদী ১ নং বিবাদী মো: জলিল রাঢ়ীর সাৎে আপোষের চেষ্টা করি।
গত ৩০ শে মে ২০২২ ইং তারিখে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের মাধ্যমে সালিশ রোয়েদাদ শর্ত না মানিয়া আমার কাজে বাঁধা প্রদান করে এবং আমার কাছে ২০,লক্ষ- (বিশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি উক্ত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমার কাছে এত টাকা নাই বলে তাকে অবহিত করি। এসময় জলিল রাঢি আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
এবং জমির ভোগদখল করতে দিবেনা বলিয়া হুশিয়ারী দেয় । আমি উপায়আস্ত না পাইয়া আমার জীবনের শেষ সম্বল বাচানোর জন্য তার হাতে পায়ে ধরিয়া ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তার হাতে দিয়ে কাজ শুরু করি ৷ ৫৩ ফুট দৈর্ঘ্য ৩৯ ফুট প্রস্থ ৭ ফুট উঁচু দেয়াল তৈরি করি। আমার জমিতে একটি টিন সেট ঘর তৈরী করি তাতে আরও আমার দুইলক্ষ টাকা খরচ হয়।
ভিতরে ঢোকার জন্য দরজায় লোহার গেট লাগালে পরে আমাকে আবার কাজে বাঁধা দেয়। এবং আরও ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা দাবী করে ।এসময় আমি ও আমার স্ত্রী স্থানীয়দের কোন সহযোগিতা না পেয়ে ওখান থেকে চলে যাই। পরবর্তীতে গত ৯ জুন ২০২৩ সাল থেকে ২১ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত আমি ও আমার স্ত্রী হজ্জ পালনে মক্কা মদীনা অবস্থান করি।
আমার ছেলে চাকুরীরত অবস্থায় থাকায় বিবাদীরা আমার দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। জনবলে বলিয়ান হয়ে দেয়ালের ইট, টিনের ঘড় আসবাবপত্র লোহার গেট, সিমেন্ট, পাশে রাখা এছাড়া আরও ২০ হাজার ইট মুহুর্তের মধ্যে নিয়ে যায়।
এদিকে গত ১৭ নভেম্বর ২৪ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি যে বিবাদীরা আমার ক্রয়কৃত জমিতে পাকা বাড়ী নির্মানের কাজ শুরু করার পায়তারা লিপ্ত হচ্ছে। আমি খবর পেয়ে জমির কাছে উপস্থিত হই। দেখতে পাই বিবাদীরা বাড়ী নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। আমি উপয়ান্তর না পেয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করিলে ওসি আমার অসায়ত্ব দেখে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
পুলিশ চলে গেলে আবারও কাজ শুরু করে। পরে কাজ শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ডাকলে আবার তারা কাজ বন্ধ করে। এ ব্যপারে চৌরাস্তার শাহিন হাওলাদার তার অফিসে উকিলে মারফত শালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন।
কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে বৈঠকে নিশ্চিত হয়, বিবাদী পক্ষের ৩২৬ দাগে জমি ভোগদখল করার কোন সুযোগ নাই।প্রতিপক্ষ জলিল রাড়ী সালিশ বৈঠক না মেনে চলে যায়। জজের ক্ষমতাবলে জমি জোড়পূর্বক ভোগদখলের চেষ্টা চালায়।
ভুক্তভোগীর দাবী এই জলিল রাঢি তার বাড়ীর অনান্য সরিকদের জমি জবর দখল করে রেখেছে তারা অসহায় হতদরিদ্র বলে প্রতিবাদ করতে পারছে না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,বড় চৌরাস্তা অপসোনিন অফিসের উত্তর পাস, পটুয়াখালী ব্রিজের ঢালে টোল ঘরের পশ্চিম পাশে ৬৪২নং খতিয়ানের, ৩২৬ দাগে রাঢিদোর জবরদখলে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও তদন্ত করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেম ভুক্তভোগীর পরিবার।
শুধু তাইনয় ভুক্তভোগী আব্দুস সোবহান আরো বলেন,তার ক্রয়কৃত জমির কাছে গেলে জলিল রাঢ়ীতার দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র সচ্রে সজ্জিত হইয়া খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বর্তমানে জজ কোর্ট বন্ধের কারনে বিবাদীরা লোকজন নিয়ে অন্যায়ভাবে আমার জমিতে কাজ চালাইতেছে।
এছাড়াও গত ১২ ডিসেম্বর ২৪ ইং দুপুর দেড়টার দিকে জমির মালিকরা সেখানে গেলে তাদেরকে বগি দাও এবং লঠি সোটা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়জলিল রাড়ী তার দলবল। তাই বর্তমান দেশের প্রধান উপদেষ্টার নিকট আকুল আবেদন পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের স্পেশাল জজের ড্রাইভার পরিচয় দেয়া জলিল রাড়ীর হাত থেকে যেন মুক্ত করার জোড় দাবী জানাই।
এব্যপারে অভিযুক্তকারী জলিল রাঢ়ীর মুঠোফোন( ০১৭২৪-৯১৭৭৩৭) নাম্বারে ফোন করে জানতে জমি জবর দখল করেছেন তাই আপনার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি জলিল রাঢি কারো জমি জবর দখল করে রাখিনি।
এসব মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। আব্দুস সোবহান জমি রাখছে হালাদার এর কাছথেকে রাঢিদের জমিতে ঘড়দুয়ার উঠায় আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়।
আমি পটুয়াখালী বিশেষ জেলা জজের ড্রাইভার আমরা জমির পৈতৃক সুত্রেমালিক তারা আমাদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেনি। কেন এসব ঝামেলা হচ্ছে আমি জানিনা। ডিসেম্বর মাস কোটবন্ধ আমি পটুয়াখালীর বাহিরে আছি।