শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় একটি ধর্ষণ মামলার আসামীকে আটক করতে গিয়ে পুলিশের তুলকালাম কান্ড হয়।
ঐ এলাকায় ব্যপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে,পরে কচুরিপানার খাল থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ঘটনা সুৃত্রে জানা যায়,মির্জাগঞ্জ উপজেলার একটি কচুরিপানা ভর্তি গভীর খালের পাড়ে কাজ করছিলেন ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মো, বেল্লাল হোসেন (৩৮)নামের এক যুবক।এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার আসামি বেল্লাল খালের পানিতে ঝাঁপ দেন।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও ঝাঁপ দেয় খালে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার মধ্য থেকে বেল্লালকে আটক করতে সক্ষম হয় মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। গত (৬ অক্টোবর) রবিবার বিকেল ৪ টার সময় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম আহম্মেদ। উল্লেখ্যঃমামলার আগের গত শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে।
এসময় ঘটনাটি দেখতে খালের দুই পাড়ে শত শত মানুষ ভিড় করেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রেপ্তারকৃত মো. বেলাল হোসেন মির্জাগঞ্জ থানায় করা একটি ধর্ষণ মামলার আসামী।
গত জুলাই মাসে বেলাল হোসেন ও বশির উদ্দিনের নামে একটি ধর্ষণ মামলা করেন মির্জাগঞ্জ থানার এক নারী। উক্ত মামলার পর থেকে আসামীরা আত্ম গোপনে ছিলেন বেশ কিছুদিন।
গত ৬ তাং বিকেলে আসামী বেলাল নিজ গ্রামের একটি খালের পাড়ে কৃষি কাজ করছিলেন। এ খবর পেয়ে তাঁকে আটক করতে অভিযানে নামে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ সদস্যরা।
এ বিষয় মির্জাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে নামে পুলিশ। আসামী বেলাল টের পেয়ে খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে পড়েন।
তাঁকে ধরতে পুলিশ সদস্যরাও খালে ঝাঁপ দেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এব্যপারে এসআই মো. এনামুল হক জানান, ‘আসামী বেলাল দূর থেকে আমাদের চিনতে পেরে খালে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে পড়ে।
সে খুব চালাক প্রকৃতির লোক। তাকে কচুরি পানার মধ্যে থেকে ধরতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগে গেছে তবুও অনেক চেষ্টার পরে আমরা তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান।