বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
বরিশাল নগরীর ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুরে ১০ বছর পর বিভিন্ন সড়কের নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটি রাস্তার নির্মান কাজ চলমান রয়েছে ।দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পলাশপুরে রাস্তাগুলো খানাখন্দ ভরে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যেত রাস্তাগুলো। টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুর, এলাকা প্রতিটি রাস্তা,ভাটিখানা রোড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর এত করে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। জানাযায়, প্রাচ্যের ভেনিস’ নামে পরিচিত বরিশাল।
২০০২ সালে বরিশালকে পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। কীর্তনখোলা নদীর তীরে গড়ে ওঠা দেশের অন্যতম বৃত্তপ্রাচীন শহর হিসাবে পরিচিত বরিশাল। সাবেক প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ মেয়র থাকাকালীন সময় নগরীর পলাশপুরে কিছু সড়ক সংস্কার করা হয়েছিলাে ।
পরবর্তীতে বিসিসিতে আহসান হাবিব কামাল মেয়র থাকাকালীন সময় ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুরসহ নগরীর বেশ কিছু ওয়ার্ডে কোন উন্নায়নের ছোঁয়া লাগে নি। দীর্ঘদিন উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় ওয়ার্ডবাসীর মাঝে একটি ক্ষোভ বিরাজ করছে।তবে সেই ক্ষোভ এখন আনন্দে পরিনিত হয়েছে পুরো ওয়ার্ড জুড়ে।
৫নং ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি সূত্র জানান, গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, নগরবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা প্রকল্পের অধীনে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাটিখানা, পলাশপুর, বউ বাজার, এ করিম আইডিয়াল কলেজ সড়ক সংস্কারের কাজ করা হবে। দ্রুত যাতে কাজ সম্পন্ন হয় সেজন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নগরের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তা গুলোও দ্রুত সংস্কার করা হবে।
এদিকে পলাশপুরে র্দীঘ ১০ বছর পর জনপ্রতিনিধি কেফায়েত হোসেন রনির প্রচেষ্টায় সড়ক নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। আর এতে ওই এলাকার সাধারণ মানুৃষের কাছ থেকে ইতি মধ্যে একজন সফল কাউন্সিলর হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন কেফায়েত হোসেন রনি। পলাশপুর এলাকায় মসজিদ, মাদরাসা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড জুড়েই চলছে সংস্কারের কাজ। এতে করে প্রতিটি কাজেই সফল ভাবে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ জনপ্রতিনিধি।
৪নং গুচ্ছগ্রাম দীর্ঘ সড়কটির নির্মান কাজের উদ্বোধন ও দোয়া মোনাজাতে কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি সরেজমিনে পলাশপুর ঘুরে দেখাযায়, ৫নং ওয়ার্ডের ৪নং গুচ্ছগ্রাম গ্রামবাসির দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষিত প্রধান সড়কটি পুনর্নির্মানের কাজ শুরু করেছেন । গতকাল এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ওই দীর্ঘ সড়কটির নির্মান কাজের উদ্বোধন ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করেন তিনি। এসময় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মামুন বলেন, আমাদের কাউন্সিলর নির্বাচনের সময় রাস্তা করে দিবে বলে ওয়াদা দিয়েছিলেন। তিনি তার ওয়াদা রেখেছেন।
আমাদের চলচলের জন্য এলাকার প্রতিটি রাস্তা পূন্যনির্মান করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মেয়র সাদিক ভাই আমাদের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। আমাদের কাউন্সিলর অনেক ভালো মানুষ। কোন কোন বিপদে পড়লে সব সময় কাউন্সিল রনি ভাইরে পাশে পেয়েছি। তার ভিতর কোন হিংসা নাই । আমাদের কপাল ভালো যে আমাদের মেয়র সাদিক ভাই ও কাউন্সিলর রনি ভাইর মত জনপ্রতিনিধি পেয়েছি।
মুহাম্মদপুর প্রধান সড়কের কাজের গুনগতমান শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষে কাউন্সিলর রনি ৫নং ওয়ার্ডের তরুন সফল কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি বলেন, আমাদের জননন্দিত মাননীয় মেয়র জননেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্ ভাইয়ের এর বিশেষ গুরুত্বের কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই কাজ শুরু করা হয়েছে । ইনশাআল্লাহ মাননীয় মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এভাবে এক এক করে ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুরের চলাচলের অনুপযোগী অন্যান্য রাস্তাগুলোর কাজে দ্রুত হাত দেয়া হবে। ইতি মধ্যে মাননীয় মেয়র জননেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নির্দেশনা অনুযায়ী মুহাম্মদপুর প্রধান সড়কের কাজের গুনগতমান শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি মনে করি আমাদের প্রিয় মেয়র মহোদয়ে ৫নং ওয়ার্ডে দৃষ্টি দিয়েছেন। ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্য খুলে গেছে। এদিকে স্থানীয় শিমা বেগম বলেন, ১০বছর পর আমরা নতুন রাস্তা থেকে হাটতে পারবো। পূর্বে বৃষ্টি হলেই জলাব্ধতা সৃষ্টি হতো । রাস্তা দিয়ে চলচলের কোন সুযােগ ছিলাে না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারতো না। আমাদের চলাচলে খুব কষ্ট হতো ।
আমাদের কাউন্সিলর রনি ভাই চেষ্টা করেছেন ও আমাদের প্রিয় মেয়র সাদিক ভাই পলাশপুরে সব রাস্তা করে দিবেন বলে ওয়াদা দিয়েছেন। আমরা মেয়র সাদিক ভাইকে ও রনি ভাইকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। প্রসঙ্গত, গত দুই বছরে বিসিসির বড় ধরনের কোনো বরাদ্দ হয়নি। আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো কোনো প্রকল্পও পাস হয়নি। তবে নাগরিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধানে নগরের আয় দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।