শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন টবগী ইউনিয়েনের ৭নং ওয়ার্ড হাজি বাড়ির আলমঙ্গীর হাজীর ছোট ছেলে সৌদিপ্রবাসী টিপু বউ শিরিনা বেগম (২৫), শ্বাশুড়ির ও শশুরের কঠিন নির্যাতনের শিকারে দুই বছরের অবুঝ শিশু মা। সুত্রে যানা যায় ঐ বাড়ির এবং ওই এলাকার জনসাধারণ সাংবাদিকদের জানান, আলমগীর হাজির ছোট ছেলে টিপু বিদেশ যাওয়ার আগে নোয়াখালীতে কাজ করতো, আর তখনই সে শিরিনা বেগমকে বিয়ে করেন এবং সেই ঘরেই তাদের আদরের একটি পুট পুঁটে পুত্র সন্তান জন্ম হয়, বর্তমানে তার বয়স দুই বছর। আর শিরিনা বেগমের স্বামী টিপু হাজি এক বছর যাবত সৌদি আরব এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারি আপন মা ও বাবা নিজের ছেলের বউকে বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন করে। এবং মেরে ফেলার হুমকি দুমকি দেয়, এবং তারই আপন শ্বাশুড়ির অত্যাচারের মার্তা দিন দিন বেড়ে যায়,এবং ২৩ শে ফেব্রুয়ারী রোজ মঙ্গলবার সকালে টিপুর স্ত্রী শিরিনা বেগমকে অমানুষিক নির্যাতন করে তার শ্বাশুড়ি এবং দুই বছরের অবুঝ শিশুকে জোর পূর্বক রেখে দিয়ে তাকে ঘর থেকে বেড় করে দেয়। সেখান থেকে কোথায় গেছে সেটা তারা জানে না। ২৭ শে ফেব্রুয়ারি শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকজন সাংবাদিক এই ঘটনাটি শুনতে পেলে তারা মেয়েটির অনুসন্ধানে বেড় হয়, এবং তাদের বিভিন্ন স্রোস দের খুজতে বলে, তার পরই ২৮ শে ফেব্রুয়ারি সকালে মেয়েটির খোঁজ পেলে সাংবাদিকরা সে স্থানে যায় এবং ভুক্তভোগী শিরিনা বেগম সাংবাদিকদের কে বিষয়টি জানান। আমার বাড়ি নোয়াখালী আজ থেকে ০৩ বছর আগে। আমার স্বামী টিপু হাজি আমাকে নোয়াখলী বিয়ে করে এবং আমাদের দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান ও আছে, আমার মা বাবা দুজনই মারা যায়, আমার শশুর ও শ্বাশুড়ি আমাদের বাড়ি গিয়ে আমাকে সহ আমার সন্তান কে হাজি বাড়ি আনে আর তখন থেকেই আমি আমার শশুর শ্বাশুড়ির কাছেই থাকি, তারপর আমার স্বামীকে এক বছর যাবত সৌদি আরব পাঠায় তার পড়ই শুরু হয় আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন, এমন কি আমার অবুঝ সন্তানকে আমার বুকের দুধও খাওয়াতে দেয়নি আমার শ্বাশুড়ি, বিভিন্ন সময় অন্য মেয়েদের ছবি এনে আমাকে দেখিয়ে বলে, এই দেখ তোকে তাড়িয়ে এই মেয়েকে বিয়ে করাবো এবং আমার স্বামীর টিপুর সাথে কথা পযন্ত বলতে দেয় না, এমনকি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন করে আমার শ্বাশুড়ি ও শশুর। আজ থেকে ছয়দিন আগে আমাকে অনেক মাইর দোর করে, এবং আমার অবুঝ সন্তানকে জোর পূর্বক রেখে দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বেড় করে দেয়। সেখান থেকে ফকির হাট ব্রাক অফিসে বিচার দিতে গেলে আমি অসুস্থ হয়ে পরি এবং আমার মায়ের বয়সি একজন বৃদ্ধ মহিলাকে অনেক কাকুতি মিনতি করি মাগো আমি খুব অসহায় হয়ে পরেছি আমাকে একটু আস্রয় দেন, তখন সে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে, এবং আমাকে ঔষধ কিনে দেয়, আজ থেকে ছয়দিন যাবত আমি আমার অবুঝ সন্তানকে দেখিনা সে কি রকম আছে তাও জানিনা। শিরিনা বেগমের শ্বাশুড়ি বলেন, সে কোনই নির্যাতন করে না, এবং এমনিতেই ঘর থেকে চলে গেছে এর আগেও একবার তার সন্তানকে নিয়ে চলে গিয়ে ছিলো তার পর আবার আসে। যে বৃদ্ধ মহিলা শিরিনিকে আস্রয় দিয়েছেন সে জানান,আমার বাড়ি কাচিয়া ইউনিয়ন এর ০৯ নং ওয়ার্ড ফকির হাট,নসর উদ্দিন বাড়ি, আমি ব্রাকে ঔষধ আনার জন্য গিয়েছিলাম হঠাৎ করে দেখতে পাই এই মেয়েটি খুবই অসুস্থ হয়ে পরেছে তখন তার কাছে গেলে সে আমাকে অনেক আকুতি মিনতি করে তাকে একটু আস্রয় দিতে বলেন সে আরো বলেন তার শ্বাশুড়ি তাকে মেরে ফেলবে, আর তখনই আমি তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি।এবং সে আমাকে ঘটনা গুলো খুলে বলে আমি আমার এলাকার মেম্বারকে জানাই। এবং সে আরও বলেন আমি থানায় জানিয়েছি এবং তারা মেয়েটিকে নিয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় নিয়ে যেতে বলেছেন আমরা এর বিচার চাই আর কোন জল্লাদ শ্বাশুড়ি ও শশুর যেন কোনো মেয়েকে অত্যাচার না করতে পারে,আমরা এর বিচার চাই। মেয়েটি বর্তমানে বোরহানউদ্দিন থানায় পুলিশের হেফাজতে আছে। বাংলার জনগন তাকিয়ে আছে, মেয়েটির ন্যয্য বিচার পাবে কি, পাবে দেখতে চায় জাতি। এই বিষয় বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মাজারুল আমিন জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।