শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায় চাঁদার দাবিতে চা দোকানদার কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে মিঠু বিশ্বাস ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। বুধবার রাত সাতটায় ৭ টায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন চায়ের দোকানদার বাদশা মিয়ার ছেলে রাসেল ও রাজন।
বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহাতের বাবা বাদশা জানান, গত ৩ জানুয়ারি দপদপিয়ায় রোমান নামে একজন হত্যা হয়। সেই হত্যা মামলায় বাদী হয় মৃত মজিদ বিশ্বাসের ছেলে মিঠু বিশ্বাস। মামলার এজাহারে আমার এক আত্মীয়কে আসামি করা হয়। আমি একজন চায়ের দোকানদার। আমার পাশাপাশি আমার দুই ছেলে রাজন ও সোহেল মাঝে মধ্যে দোকানদারি করে। হত্যার ঘটনার কয়েকদিন পর মিঠু বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা আমার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে চায়ের দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি আমি নলছিটি থানাকে অবগত করা হলে এস আই মেজবাহ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় ঘটনাস্থলে আসেন। দোকানে তালা লাগানো দেখতে পেয়ে দোকান খোলার ব্যবস্থা করে দেন। রাত সাতটার দিকে মিঠু বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা চায়ের দোকান খোলা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মিঠু বিশ্বাস ও তার ভাতিজা আকিব বিশ্বাস, ভাই মুন্না বিশ্বাস এবং তাদের সহযোগী আলম, সুজন সহ ১০ থেকে ১৫ জনের মতো ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী পরিকল্পতভাবে বাদশার চায়ের দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এসময় বাদশার ছেলে রাজন ও সোহেল বাধা দিলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন মিঠু বিশ্বাসসহ অন্যান্য সহযোগী সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে রাসেল এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। প্রত্যক্ষদর্শীরা মাসুদ জানান, কিছুদিন আগে এলাকায় একটা খুন হওয়ার পর পর পর চায়ের দোকানদার বাদশা মিয়ার দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় মিঠু বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা।
বুধবার দুপুরে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাদশা চায়ের দোকান খোলা হলে রাত সাতটার দিকে মিঠু ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়। তিনি আরো জানান, স্থানীয় ওয়ার্ডের এক জনপ্রতিনিধির প্রভাব খাটিয়েমিঠু বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ওই জনপ্রতিনিধি মিঠু ও তার সহযোগীদের মদদ দিচ্ছে। এ ঘটনায় নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ ( তদন্ত) আব্দুল হালিম জানান, হামলার ঘটনা শুনে আমরা ফোর্স পাঠিয়েছি। অভিযোগ দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।