শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
জাকির হোসেন।। ভোলার সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে চর জাঙ্গালিয়া মসজিদ ও নূরানী মাদরাসার নামে ও বরাদ্দকৃত মোট ৫ টন জিআর চাউল উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদুর চর গ্রামের পালোয়ান বাড়ী থেকে মো. মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ দালালকে আটক করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত ইউসুফ পালোয়ান পলাতক রয়েছে। এসময় ৮ বস্তা চাউল উদ্ধার করা হয়। তথ্যসূত্র জানা যায় সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া বাজার জামে মসজিদ মক্তব ও নূরানী মাদ্রাসার নামে বরাদ্দকৃত মোট ৫টন চাউলের ২ টন জিআর চাউল উত্তোলন করে মজিবল হক পালোয়ান ও তার ভাই ইউসুফ পালোয়ান। উত্তোলনকৃত চাউল মাদ্রাসায় না দিয়ে আত্মসাত করে সেগুলো ইউসুফ পালোয়ানের বাসায় রেখে দেয়া হয়।
বিষয়টি কমিটির লোকজন জানতে পেরে জেলা প্রশাসককে ও সাংবাদিকদের জানায় স্থানীয়রা।পরে জেলা প্রশাসক এ্যাসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেন। এসিল্যান্ড পুলিশের একটি টিম নিয়ে মজিবল হক পালোয়ান বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ইউসুফ পালোয়ানের ঘর থেকে আত্মসাৎ করা জিআর ৮ বস্তা চাউল উদ্ধার করেন। এসময় চাউল আত্মসাৎ করার অভিযোগে মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ দালালকে আটক করা হয়। ইউসুফ পালোয়ান পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। চর জাঙ্গালিয়া বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন মক্তব ও নূরানী মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মো. শমসের আলী জানান, মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ পালোয়ান মক্তব ও নূরানী মাদ্রাসার নাম দিয়ে ২ টন জিআর চাউল উত্তোলন করে। চাউলগুলো মাদ্রাসায় হস্তান্তর না করে সেগুলো তাঁরা আত্মসাত করে। বিষয়টি আমরা জানতে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে একপর্যায়ে ভোলার জেলা প্রশাসকে অবগত করি। জেলা প্রশাসক এসিল্যান্ড ও পুলিশ পাঠিয়ে মজিবল হকের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ইউসুফের ঘর থেকে আত্মসাতকৃত ৮ বস্তা চাউল উদ্ধার করে। মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ দালালকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আবদুল্লাহ খান।