সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
উজিরপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সব্যসাচী দাস এর বিরুদ্ধে ভূয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদানের অভিযোগে বরিশাল সিভিল সার্জনের নির্দেশে তদন্ত শুরু। সূত্রে জানা যায়, ১২ আগষ্ট বুধবার সকাল ১০টায় উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তদন্ত কার্যক্রমে আসেন বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ এস.এম কবির হাসান, মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমুল ইসলাম, প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন উকিলসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট টীম। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার রাহুতকাঠী গ্রামের মৃত মৌজে আলী সিকদারের ছেলে মোঃ কবির সিকদারের সাথে একই বাড়ির মৃত ফিরোজ সিকদারের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম শুভর সাথে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর মারামারি সংঘটিত হয়। ওই দিন মোঃ তৌফিকুল ইসলাম শুভ সামান্য আঘাত নিয়ে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওইদিন বাবুগঞ্জ থানায় শুভর মা মাহামুদা বেগম বাদী হয়ে জিআর ৮৭/১৯ মামলা দায়ের করে। বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ উজিরপুর হাসপাতাল থেকে ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর ডাঃ সব্যসাচী দাস একটি জখমী সার্টিফিকেট প্রদান করে যার মেমো নং-১১৭৩। রোগীর ভর্তি রেজিষ্ট্রারে শরীরে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত উল্লেখ থাকলেও সার্টিফিকেটে একাধিকবার গুরুতর জখমের কথা উল্লেখ করেছেন। এমনকি রোগীর ভূয়া স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে এবং মামলার লিখিত অভিযোগের সাথে সার্টিফিকেটের সাথে কোন মিল নেই।এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী কবির সিকদার বরিশাল সিভিল সার্জন বরাবরে ডাঃ সব্যসাচীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আলোকে বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেনের নির্দেশে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টীম তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। স্থানীয়রা আরো জানান, ডাঃ সব্যসাচীর কক্ষে টাকা ছাড়া চিকিৎসা মেলে না, টাকা বেশি দিলে সার্টিফিকেট সহজেই সার্টিফিকেট মিলে। উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী জানান, একটি অভিযোগের আলোকে সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে ২ সদস্যের একটি তদন্ত টীম আজ সকালে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।