শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমন বাড়ায় করপোরেশনভুক্ত পুরো এলাকা সম্পূর্ণ লকডাউন করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সোমবার বিকেলে এ বিষয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সিভিল সার্জনকে ফোনে অবহিত করে তা ‘দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে’র জন্য বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমনের ব্যাপকতার কারণে বিসিসি এলাকা ইতোমধ্যে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে বরিশাল নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডই রেড জোনের মধ্যে রয়েছে। বাকি ২৬, ২৭ ও ৩০নং ওয়ার্ড গ্রীন জোনের মধ্যে রয়েছে।
প্রায় ৫ লাখ জন অধ্যুষিত নগরীতে সোমবার পর্যন্ত ৭৪২ জন করোনা সংক্রমনের শিকার হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক আমাকে ফোন করে তাদের দেওয়া নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন’। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সুপারিশ করে বরিশালের সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তবে কবে থেকে এই লকডাউন শুরু হবে সে সম্পর্কে জেলা সিভিল সার্জন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক এখনও কিছু জানাননি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহবুদ্দিন বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে নির্দেশনা কার্যকরের জন্য বেশ কিছু পূর্ব প্রস্তুতি ও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। তা সম্পন্ন করার পরই লকডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও বেশ কিছু মহলের সঙ্গে আলোচনার করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে।’
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, টেলিফোনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক সিটি করপোরেশন এলাকা লকডাউন করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে অতি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। এছাড়া রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত এলাকা লকডাউন করার ক্ষেত্রে প্রদত্ত সকল শর্ত শত ভাগ কার্যকর করার কথাও বলেছেন পরিচালক। সেভাবেই সকল কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘‘যেখানে ‘রেড জোন’ হবে সেই এলাকাকে ব্লক করা হবে। ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। রেড জোনে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসন। এছাড়া ‘রেড জোনে’ দেওয়া লকডাউন ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে।’’
ওই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, লকডাউন এলাকায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বুথ এবং চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। খাবার, ওষুধ ও বাজারের সব ব্যবস্থা ভেতরেই করা হবে। সবদিক থেকে ওই এলাকাটিকে ঘিরে দেওয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে এবং বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে।