বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
একাধিক পরিবহন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে এ কথা জানা যায়। সুযোগ করে দেয়ার বিনিময়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যান আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। বরিশাল-মাওয়া রুটে ১৫-২০টি মাইক্রোবাস চলাচল করছে। করোনার এই দুঃসময়ে বাস চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশকেও ম্যানেজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাস টার্মিনাল সূত্র জানায়, রাত ২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মাইক্রোবাসগুলো যাত্রী পরিবহন করছে। প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। পথে পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করে বাসগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। খবর পেয়ে এ প্রতিবেদক রাতে বাস টার্মিনালে গিয়ে এর সত্যতা পান। দেখা যায়, মাইক্রোগুলো সিরিয়াল করে রাখা হয়েছে। যাত্রী পূর্ণ হলেই পুলিশের সামনে দিয়ে মাইক্রো ছেড়ে যাচ্ছে। থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রাতে থাকা পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তাদের নির্লিপ্ত দেখা যায়। একজন শ্রমিক জানান, বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা থেকে শুরু করে মাওয়া যেতে যে কটি চেকপোস্ট পড়ে, সব কটি ম্যানেজ করেই মাইক্রোবাসগুলো চলাচল করছে। এর পেছনে রয়েছে শ্রমিক নেতা দাবিদার একজন ইউপি চেয়ারম্যান। এ নিয়ে অন্য বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলছেন, লকডাউনের কারণে যেখানে সবকিছু বন্ধ এবং গণপরিবহনের শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে, সেখানে গভীর রাতে এসব মাইক্রোবাসের চলাচল মেনে নেয়া যায় না। এতে এক শ্রেণির লোক সুবিধা পেলেও অন্যরা বঞ্চিত হচ্ছে। গভীর রাতে চোরের মতো এই গাড়িগুলো চলাচল করতে দেয়ার মধ্যদিয়ে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বাদ যাব কেন। আমরাও নেমে পড়ব। আইন সবার জন্য সমান। আমরা ঘরে বসে থাকব আর অন্যরা কাজ করবে সেটা হবে না।
আরেকটি সূত্র বলছে, শ্রমিক নেতা দাবিদার ওই ইউপি চেয়ারম্যানের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে বাস মালিক সমিতি বা শ্রমিক ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারে না। জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আফতাব আহম্মেদের পদত্যাগের পর পুরো টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ এখন ওই ইউপি চেয়ারম্যান হাতে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। মাইক্রোবাস যদি মাওয়া রুটে যাত্রী পরিবহন করে থাকে, তাহলে তা বন্ধ করে দেয়া হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এরকম করার তো কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টিকে কঠোরভাবে দেখা হবে।
সূত্র: যুগান্তর