রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪: গাজা বিক্রির অপরাধে বরিশাল নগরীর দুই গাজা ব্যবসায়ীকে সাজা দিয়েছে আদালত। রোববার (২রা ডিসেম্বর) বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ বিচারাধীন আদালত ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আহমেদ বিচারাধীন আদালত সাজার এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হল নগরীর ধান গবেষণা এলাকার রব ফরাজীর ছেলে সুমন ফরাজী ও সোনালী আইসক্রিম মোর এলাকার কালাম হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার।আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মেট্রো ডিবির এস আই মিলন বিশ্বাস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রুপাতলী হামিদ খান সড়কে অভিযান চালিয়ে সুমনকে আটক করে।তল্লাশিতে তার কাছ থেকে দেড়শ গ্রাম গাজা উদ্ধার হলে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। একমাস ৭ দিন তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে ডিবির এস আই বৈচী বিশ্বাস আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ৪ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়।সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১ বছর কারাদন্ড সহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ।অপর দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শামীমকে ৩ কেজি গাজায় ২ বছর কারাদণ্ড সহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস কারাদণ্ড দেন।র্যাব ৮ এর ডিএডি আনিছুর রহমান আটক শেষে গাজা উদ্ধারের পর ২০১২ সালের ২৮ মে শামীমের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। একমাস ২ দিন তদন্ত শেষে সত্যতা পেয়ে এস আই মনিরুল ইসলাম চার্জশীট দাখিল করলে আদালত ৬ জনের সাক্ষ্য নিয়ে দোষ প্রমাণ পেয়ে তাকে সাজা দেন।রায়ের সময় সুমন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয় এবং উপস্থিত আসামী সুমনকে সাজাভোগে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় বলে আদালত সূত্র জানায়।