শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেছেন, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার একসময় বলেছিলেন বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়িম, কিন্তু এখন আর কেউ সেটা বলতে পারেনা। কারন বাংলাদেশের বর্তমান সাফল্য অভাবনীয় অবস্থায় রয়েছে।
পরিচ্ছন্ন পরিবার ও সমাজ গড়ে তুলতে প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আয়োজনে বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের হোটেল গ্রান্ড পার্কে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলার চেয়ারম্যান মেম্বার ও এনজিও প্রতিনিধিদের সম্বন্বয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, শুধু দক্ষিন এশিয়ায় নয়, গোটা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। উন্নয়ন বলতে যেটা প্রয়োজন, অর্থাৎ আমাদের প্রতিটি অংশের উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন পরিবার ও সমাজ গড়ে তুলতে হলে আমাদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। স্কুল পর্যায়ে এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। পায়খানা ব্যবহার কিংবা খাবার খাওয়ার পূর্বে সাবান দিয়ে হাতে ধোয়ার বিষয়টি এখন অনেকেই জানেন। আগে বিশেষ করে আমাদের পূর্ব-পুরুষরা খোয়া যায়গায় ল্যাটট্রিন ব্যবহার করতো, এখন সেটা পাওয়া যায় না। আর এর সবকিছুর পেছনেই সচেতনার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে হাত ধোয়া থেকে শুরু করে অনেক কাজেই এখন ক্যামিকাল ব্যবহার করি। যেমন সাবান, মুখে দেয়া ক্রিমও ক্যামিকাল। যা বিভিন্ন ভাবে ওয়ার্টার সোর্সে যাচ্ছে এবং পানি দুষিত হচ্ছে। সুয়ারেজ ব্যবস্থার কারনেও পানি দুষিত হচ্ছে। নদীর পানিও নানান কারনে দুষিত হয়ে উঠছে। তাই যে লঞ্চে নদীর পানি ব্যবহার হয়, তা বিশুদ্ধ নয়। আবার বিশুদ্ধ পানির কারনে যে হারে চাপকল বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি তোলা হচ্ছে, তাতে সেখানেও পানির সংকট দেখা দিচ্ছে।
আমাদের উচিত হবে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা। এ জন্য শুধু ভূগর্ভস্থ এবং পরিশোধিত পানির দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, বিকল্প হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার বিষয়ে নজর দেয়া যেতে পারে। যেটা হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং এই বৃষ্টির পানি ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশেরবরিশাল বিভাগীয় ম্যানেজার শাহরুখ সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।
সভায় বক্তারা বলেন, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরিস্কার টয়লেট নির্মান ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে ভোলা জেলার ৪টি উপজেলায় ৪৬ হাজার পরিবার কে শতভাগ নিরাপদ সেনিটেশন নিশ্চিত করনে কাজ করবে।