বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই……বিএনপি নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন কুয়াকাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ৬ দফা দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বাউফলে বিএনপির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের আলোচনা সভা বরিশালে ২জন পাবলিক প্রসিকিউটরকে জেলা ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের ফুলেল শুভেচ্ছা কলাপাড়ায় ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির ওরিয়েন্টেশন কুয়াকাটায় নির্মানাধীন দোকানের ওয়ালের ভিম ভেঙ্গে দুই নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু ক্ষতিপূরণ পাবে পরিবার, ববি শিক্ষার্থী মাইশার নামে হচ্ছে ফুটওভার ব্রিজ শ্রমিক ট্রান্সপোর্ট এজেন্সীর উদ্বোধন  গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন গলাচিপায় ৬০ বছর পূর্বে রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে সরকারি কৃষি অফিসের গোডাউন স্থাপন পটুয়াখালীতে শালিশ বৈঠকে জমি না দেয়ায় মারধর,পানিতে চুবানোয় বৃদ্ধার মৃত্যু ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সরকারী খালের মাটি বিক্রি করায় ভেঙে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়ক, ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি
অনিয়ম ও অভিযোগের পাহাড় প্রধান শিক্ষক জুনায়েত খানের বিরুদ্ধে

অনিয়ম ও অভিযোগের পাহাড় প্রধান শিক্ষক জুনায়েত খানের বিরুদ্ধে

Sharing is caring!

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

টাকা ছাড়া মেলেনা সার্টিফিকেট। প্রায়ই বিদ্যালয়ে থাকেন অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে থাকেন বিরত। উত্তোলন করেন না জাতীয় পতাকা। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে করেন খারাপ আচরন। আত্মসাৎ করেছেন বিদ্যালয়ের টিউশন ফি সহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা।

বে আইনি ভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নেয়ায় আদালতে মামলা চলমান। এমনি একাধিক অভিযোগের পাহাড় রয়েছে মানুষ গড়ার কারিগর কলাপাড়ার লালুয়া এস কে জে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জুনায়েত হোসেন খান এর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী অভিভাবক দুদাল বলেন, ওই স্কুল থেকে আমার মেয়ে তুলি জে এস সি পাশ করেছে। তার সার্টিফিকেট আনতে গেলে ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে সার্টিফিকেট দিবেনা।

পরবর্তীতে শিক্ষা অফিসারকে আমার মেয়ে জানালে সে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান স্কুলের দাতা সদস্য ও অভিভাবক মো. জরিুল ইসলাম এবং লুৎফর জানান, সে একজন অবৈধ শিক্ষক। স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে খারাপ আচরন করে।

সার্টিফিকেটের জন্য টাকা দাবি করে। সে ছিল লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। সে স্কুলের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনা। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, কোন প্রকার কারন ছাড়াই শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করেন। আর্থিক অনিয়ম চরমে, তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে জানান শিক্ষকরা।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো.শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের ভুল বুজাইয়া তিনটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে একটি কাগজ প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ব্যবহার করেছে। অন্য একটি কাগজ দিয়ে স্কুলটি এখান থেকে অন্যত্র সরানোর কাজে ব্যবহার করেছে।

বাকি কাগজটি দিয়ে চতুর্থ শ্রেনীর নিয়োগে ব্যবহার করে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। কাউকে না জানাইয়া স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছে। মাসে ৫ দিনও ক্লাসে উপস্থিত থাকেনা। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধ ভাবে নিয়োগ নেয়ায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এস কে জে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জুনায়েত হোসেন খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রবিউল ইসলাম জানান, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোয়াজ্জেম হোসেন
পটুয়াখালী
০৩.১০.২০২৪

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD