সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
ভোট দিয়ে বেহেশত পাওয়া গেলে, আমি নির্বাচন না করে বেহেশতে যেতে চাই” ,,,,,,,,,এবিএম মোশাররফ হোসেন কলাপাড়ায় শতাধিক আওয়ামী লীগ কর্মী বিএনপিতে যোগদান বরিশালে সংবাদ সম্মেলনের পরে ভুক্তভুগীর বাড়িতে মিছলসহ হামলা, বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কলাপাড়া যুবদলের র‍্যালী ও যুব সমাবেশ চরমোন্তাজের মোজাম্মেল মেম্বারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: গলাচিপায় সংবাদ সম্মেলন আনন্দঘন পরিবেশে আলিপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় কৃষক বাজার গণসংযোগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল গাফফার তালুকদারের রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া রিটানিং কর্মকর্তারা চাইলে দায়িত্বরত আসন ও প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবে………..নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বরিশালে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি ও হুমকি মহিপুরে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনশন সরকারি সুবিধা প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউপির সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়ে একদিকে যেমন আনন্দ অন্যদিকে ঘোর অন্ধকার কুয়াকাটায় উৎসবমুখর পরিবেশে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কলাপাড়ায় ৯ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ
অনিয়ম ও অভিযোগের পাহাড় প্রধান শিক্ষক জুনায়েত খানের বিরুদ্ধে

অনিয়ম ও অভিযোগের পাহাড় প্রধান শিক্ষক জুনায়েত খানের বিরুদ্ধে

Sharing is caring!

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

টাকা ছাড়া মেলেনা সার্টিফিকেট। প্রায়ই বিদ্যালয়ে থাকেন অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে থাকেন বিরত। উত্তোলন করেন না জাতীয় পতাকা। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে করেন খারাপ আচরন। আত্মসাৎ করেছেন বিদ্যালয়ের টিউশন ফি সহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা।

বে আইনি ভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নেয়ায় আদালতে মামলা চলমান। এমনি একাধিক অভিযোগের পাহাড় রয়েছে মানুষ গড়ার কারিগর কলাপাড়ার লালুয়া এস কে জে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জুনায়েত হোসেন খান এর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী অভিভাবক দুদাল বলেন, ওই স্কুল থেকে আমার মেয়ে তুলি জে এস সি পাশ করেছে। তার সার্টিফিকেট আনতে গেলে ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে সার্টিফিকেট দিবেনা।

পরবর্তীতে শিক্ষা অফিসারকে আমার মেয়ে জানালে সে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান স্কুলের দাতা সদস্য ও অভিভাবক মো. জরিুল ইসলাম এবং লুৎফর জানান, সে একজন অবৈধ শিক্ষক। স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে খারাপ আচরন করে।

সার্টিফিকেটের জন্য টাকা দাবি করে। সে ছিল লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। সে স্কুলের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনা। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, কোন প্রকার কারন ছাড়াই শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করেন। আর্থিক অনিয়ম চরমে, তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে জানান শিক্ষকরা।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো.শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের ভুল বুজাইয়া তিনটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে একটি কাগজ প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ব্যবহার করেছে। অন্য একটি কাগজ দিয়ে স্কুলটি এখান থেকে অন্যত্র সরানোর কাজে ব্যবহার করেছে।

বাকি কাগজটি দিয়ে চতুর্থ শ্রেনীর নিয়োগে ব্যবহার করে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। কাউকে না জানাইয়া স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছে। মাসে ৫ দিনও ক্লাসে উপস্থিত থাকেনা। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধ ভাবে নিয়োগ নেয়ায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এস কে জে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জুনায়েত হোসেন খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রবিউল ইসলাম জানান, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোয়াজ্জেম হোসেন
পটুয়াখালী
০৩.১০.২০২৪

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD