শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ তার ভাই আজাদসহ দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামালা বরিশালে আন্তর্জাতিক নারী সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষ পালিত সচেতনতামূলক সভা ও প্রচার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বেগম জিয়ার জন্য ১৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দোয়া দল থেকে মনোনয়ন পেল পটুয়াখালী-০১, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোসনা দিল পটুয়াখালী ৪ আসনে কলাপাড়ায় চালু হলো ‘মায়াজ মার্ট.কম’ — ঘরে বসেই মিলবে পণ্য সেবা কলাপাড়ায় মানবাধিকার দিবসে কৃষিনীতি বাস্তবায়নের দাবিতে নারী কৃষকদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন বাউফলে সেই আওয়ামী দোসর মকবুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা, পিবিআইকে তদন্ত বরিশালে সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বরিশাল কাশিপুরে বিএনপি নেতার হামলায় জামায়তকর্মী গুরুতর জখম আপনারা শহীদ জিয়ার রাজনীতি করেন, আপনারা বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করেন রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের লিফলেট বিতরণ বাউফলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিএনপি নেতার শীতবস্ত্র বিতরণ বরিশালে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত সাংবাদিক নেতা মনজুর হোসেন বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য ৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দোয়া চরফ্যাশনে যুবদল নেতার উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
অনিয়ম ও অভিযোগের পাহাড় প্রধান শিক্ষক জুনায়েত খানের বিরুদ্ধে

অনিয়ম ও অভিযোগের পাহাড় প্রধান শিক্ষক জুনায়েত খানের বিরুদ্ধে

Sharing is caring!

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

টাকা ছাড়া মেলেনা সার্টিফিকেট। প্রায়ই বিদ্যালয়ে থাকেন অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে থাকেন বিরত। উত্তোলন করেন না জাতীয় পতাকা। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে করেন খারাপ আচরন। আত্মসাৎ করেছেন বিদ্যালয়ের টিউশন ফি সহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা।

বে আইনি ভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নেয়ায় আদালতে মামলা চলমান। এমনি একাধিক অভিযোগের পাহাড় রয়েছে মানুষ গড়ার কারিগর কলাপাড়ার লালুয়া এস কে জে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জুনায়েত হোসেন খান এর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী অভিভাবক দুদাল বলেন, ওই স্কুল থেকে আমার মেয়ে তুলি জে এস সি পাশ করেছে। তার সার্টিফিকেট আনতে গেলে ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে সার্টিফিকেট দিবেনা।

পরবর্তীতে শিক্ষা অফিসারকে আমার মেয়ে জানালে সে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান স্কুলের দাতা সদস্য ও অভিভাবক মো. জরিুল ইসলাম এবং লুৎফর জানান, সে একজন অবৈধ শিক্ষক। স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে খারাপ আচরন করে।

সার্টিফিকেটের জন্য টাকা দাবি করে। সে ছিল লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। সে স্কুলের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনা। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, কোন প্রকার কারন ছাড়াই শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করেন। আর্থিক অনিয়ম চরমে, তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে জানান শিক্ষকরা।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো.শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের ভুল বুজাইয়া তিনটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে একটি কাগজ প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ব্যবহার করেছে। অন্য একটি কাগজ দিয়ে স্কুলটি এখান থেকে অন্যত্র সরানোর কাজে ব্যবহার করেছে।

বাকি কাগজটি দিয়ে চতুর্থ শ্রেনীর নিয়োগে ব্যবহার করে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। কাউকে না জানাইয়া স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছে। মাসে ৫ দিনও ক্লাসে উপস্থিত থাকেনা। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধ ভাবে নিয়োগ নেয়ায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এস কে জে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জুনায়েত হোসেন খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রবিউল ইসলাম জানান, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোয়াজ্জেম হোসেন
পটুয়াখালী
০৩.১০.২০২৪

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD