মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: বাকেরগঞ্জে লুডু খেলা এখন জুয়ায় আসরে পরিণত হয়েছে। এক সময় লুডু বোর্ড ছিল কাগজে তৈরি, এখন তা মোবাইলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ মোবাইলের মাধ্যমেই চলছে বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানের সামনে ও দোকানের ভিতরে মোবাইল এর মাধ্যমে ডিজিটাল জুয়ার আসর বসে।
স্মার্টফোনে লুডু কিং নামে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে সর্বোচ্চ আটজন মিলে এ খেলা খেলতে পারে। খেলার ধরন রয়েছে দুই প্রকার। একটি অনলাইনের মাধ্যমে অপরটি একটি মোবাইলে একইসঙ্গে বসে খেলা যায়। তবে অনলাইন ছাড়া একসঙ্গে চারজনের খেলার প্রবনতা বেশি দেখা গেছে। চারজন মিলে খেললে এক একটি গেইম শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট। প্রতি গেমে বাজি ধরা হয় ১০০-৫০০ টাকা। কোন কোন ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ আরো বেশিও হয়।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর ডিসি রোড খেয়া ঘাটে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, তিনি পেশায় একজন দোকানদার ছিলেন। এক সময় নিয়মিত মোবাইল ফোনে লুডু কিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে জুয়া খেলতেন। খেলতে খেলতে এমন নেশা হয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত আয়ের উৎস দোকানটি বিক্রি করে দিতে হয়েছে। এখন তিনি বেকার। তিনি আরও জানান, বাকেরগঞ্জে প্রায় বাসস্ট্যান্ড ও লঞ্চঘাট এলাকায় এ জুয়ার আসর বসে।
এসব জায়গায় যারা লুডুর মাধ্যমে জুয়া খেলে তারা একটি মোবাইলের মাধ্যমে একসঙ্গে বসে। উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এসব জুয়ারিরা যখন সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে, তখন তারা সামাজিক নানা প্রকার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
তাই এ ধরনের জুয়া বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’ বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় বলেন, ‘এ ধরনের জুয়া খেলায় হাতে-নাতে কাউকে ধরতে পারলে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে পারিবারিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে।