বিতর্কিতদের এড়িয়ে বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলকে সু-সংগঠিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এমনকি বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে নতুন এবং যোগ্য নেতাদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এরই মধ্যে উত্তর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে জায়গা করে নিতে লবিং-তদবির শুরু করেছেন অনেকে। তবে তারেক রহমানের বিশেষ দৃষ্টি থাকায় এবারের কমিটিতে বিতর্কিতদের অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই বলে মনে করছেন দলীয় মহল।

তাদের মতে সিন্ডিকেটের বেড়া জাল ভেঙে এবার যোগ্য নেতৃত্বের মূল্যায়ন হবে বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলে। এমন সম্ভাবনার কথা ভেবেই বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক পদের দাবিদার হয়েছেন বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সুজন।

রাজনৈতিক সিন্ডিকেট আর অর্থ শক্তির কাছে পরাজিত সাবেক সক্রিয় ছাত্র নেতা সাইফুল ইসলাম সুজন বিরোধী দলে থেকে হামলা-মামলাসহ তার রাজনৈতিক ত্যাগের বিষয়ে মূল্যায়নের দাবি রেখেছেন তারেক রহমানসহ যুবদলের কেন্দ্রেীয় নেতাদের কাছে।

আর তাই ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত এবং জীবন বৃত্তান্ত যুবদলের বিভাগীয় সফর টিমের সদস্য ও দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট পারভেজ আকন বিপ্লব এর কাছে হস্তান্তর করেছেন।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর সদর রোডস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেন্দ্রে উপস্থাপনের জন্য দক্ষিণ জেলার নেতার হাতে তুলে দেন সাইফুল ইসলাম সুজন। এসময় তার সাথে ছাত্র ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানাগেছে, বরিশাল জিলা স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে নাম লেখান সাইফুল ইসলাম সুজন। সেই থেকেই শুরু হয় বিএনপি’র রাজনীতিতে তার পথচলা। দলের নিবেদিত প্রাণ সাইফুল ইসলাম সুজনের দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বিসিসি’র ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।

এছাড়া ২০০৩ সালে বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ অধ্যয়নরত অবস্থায় কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় সাইফুল ইসলাম সুজনকে। এরপর ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সুজন।

সবশেষ ২০১২ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এর দায়িত্ব পান সাইফুল ইসলাম সুজন। সবশেষ গঠিত হওয়া বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের কারণে বঞ্চিত হন সুজন। যা নিয়ে গোটা বরিশাল জেলা জুড়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা। দুই থেকে তিন মাস ব্যাপী চলে এই আন্দোলন। যা বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। তবে এবার নতুন করে উত্তর জেলা যুবদলের কমিটিতে মূল্যায়ন চাচ্ছেন সুজনসহ তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা।