শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন রহমতপুর ইউনিয়নের (ক্ষুদ্রকাঠি গ্রাম দোয়ারিকা ফেরিঘাট) ১নং ওয়ার্ডের আলতাফ হাওলাদারের ছেলে কথিত আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দানকারী চাদাঁবাজ শাহিন রানা ওরফে চাদাঁবাজ রানার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। দিন যতই যাচ্ছে রানা’র অত্যাচারে ওই এলাকার মানুষের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী এলাকায় কেউ কোন কোন স্থাপনা থেকে শুরু করে কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান উঠালেই বালু ব্যাবসায়ী রানা’কে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। আর তাতে যদি কেউ অস্বিকার করে তাহলেই তার উপর চলে হামলা। স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়, শাহিন রানা তার চাদাঁবাজীর সহজ পদ্বতি হিসেবে রহমতপুর ইউনিয়নের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছেন। তার এই বাহিনীর দায়িত্বে রয়েছেন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বাদশার ছেলে সম্রাট, সাবেক এক চেয়ারম্যানের গান ম্যান শহিদ ও একই এলাকার বাপ্পি সহ আরো ১০/১২জন। এদিকে এয়ারপোর্ট থানা সূত্রে জানাযায়, গত ২০১৫ সালে মাস্টার ব্রিকস ইট ভাটার মালিকের ছেলে ও ম্যানেজার কে কুপিয়ে ৪লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১নং আসামী এই শাহিন রানা। এখানেই শেষ নয় সাম্প্রতিক কালে রহমতপুর ইউনিয়নের সেলিম হাওলাদারের ছেলে ও মানিককাঠি বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক- সালাউদ্দিন হোসেন সাদ্দামের কাছে ৬০হাজার টাকা চাদাঁ দাবী করেন চাদাঁবাজ শাহিন রানা। ভুক্তভুগি সালাউদ্দিন হোসেন জানান, বেশ কয়েক মাস যাবৎ রানা আমার কাছে চাদাঁ চেয়ে আসছে। চাদাঁ দিতে অস্বিকার করায় আমাকে ব্যাবসা করতে দিবেনা বলে হুমকিও দেন। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট মানিককাঠি বাজারে বসে চাদাঁবাজ শাহিন রানার নেতৃত্বে স্থানীয় সন্ত্রাসী সম্রাট, শহিদ ও বাপ্পি সহ আরো ১০/১৫জন মিলে দেশিয় অস্র ও লঠি সোটা দিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। যার ফলে আমি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন হোসেন সাদ্দাম। বিষয়টি নিয়ে শাহিন রানার বক্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে (০১৭১১-……….১৩৬) একাদিকবার চেস্টা করা হলেও তা সংযোগ পাওয়া যায়নি।