শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীতে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালীতে তিন বাড়ী লক ডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। ডিসি মতিউল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে রোববার দুপুরে সদর থানা পুলিশের সহায়তায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি লাল নিশান টানিয়ে ওই বাড়ী দুটি লক ডাউন ঘোষনা করেন। তবে ওই পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন।
পটুয়াখালী সদরে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানায়-শনিবার পটুয়াখালী জেলা শহরের জেলা কারাগার এলাকায় মাতব্বর বাড়ী এলাকার জনৈক আব্দুর রশিদ নামে এক ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ ভাইরাল হেপাটাইটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বসতঘরে মারা যায়। এঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরলে মৃত ব্যক্তির করোনা সংক্রম নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। শনিবার রাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তার দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তু মৃত্যুর ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে। আতংকগ্রস্থ্যরা একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনকে করোনা সংক্রান্ত বিধি কার্যকরের জোর দাবী জানায় বলে নিশ্চিত করেন সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান। স্থানীয়দের দাবী ও পরবর্তীতে করোনা সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় নাসির মাতব্বর জানায়-নিহত ব্যক্তির বাড়ী ভোলার লালমোহনের সাতবাড়ীয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত কেরামত আলীর পুত্র।
একই দিনে সদর উপজেলার টাউন বহালগাছিয়া এলাকার মোহম্মদ জাকির হোসেন(৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে অসুস্থ্য অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে আইসোলেশনে রাখা হয়। ভর্তির পরপর ওই ব্যক্তি করোনা ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। এ প্রসঙ্গে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহম্মদ বাকিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানায়-মৃত জাকির হোসেন শ্বাসকষ্টো, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আইসোলেশনে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জাকির হোসেনের মৃত্যুর লক্ষন গুলো করোনা সংক্রান্ত মনে হচ্ছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। জাকির হোসেনর মৃত্যুর পর তার বাড়ী লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। একই সাথে নিহত জাকিরের নিজ বাড়ী গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়ী এলাকার বাশবাড়িয়া চৌধুরী বাড়ীকে লকডাউন করা হয়। মূলত ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর বহালগাছিয়া এলাকায় শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে এসে তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহম্মদ জাহাংগীর আলমকে একাধিকবার তার ব্যবহৃত ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদুজ্জামান জানায়-দুইটি বাড়ীতে মৃত্যুর ঘটনার পর আতংক ছড়িয়ে পড়া এবং ঝুঁকি এড়াতে প্রাথমক ভাবে তিনটি বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে।