শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
পরিকল্পিতভাবে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মুন্নি আক্তার (২০) নামের অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগে শুক্রবার সকালে নিহতের স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার আলিমাবাদ গ্রামের।
ওই গ্রামের সিরাজ সরদারের পুত্র শামিম সরদারের স্ত্রী মুন্নি আক্তার পটুয়াখালীর আমতলী উপজেলা সদরের বাসিন্দা নজরুল হাওলাদারের কন্যা। সে (মুন্নি) জন্মের পর ও বিয়ের আগে তার মামা বাড়ি গৌরনদী উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে মা নারগিস বেগম ও মামার পরিবারের সাথে বসবাস করে আসছিলো।
শুক্রবার দুপুরে নিহত মুন্নির মামী সিমা বেগম ও অন্যান্য স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, গত আট মাস পূর্বে শামিম সরদারের সাথে মুন্নির সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শামিম সরদার কাজের সুবাদে ঢাকায় অবস্থান করলেও মুন্নি তার শ্বশুর-শ্বাশুরীর সাথে গ্রামের বাড়িতেই থাকতো। সে (মুন্নি) তিন মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলো। তারা আরও জানান, মাঝে মধ্যেই গৃহবধু মুন্নি আক্তারকে কারনে অকারনে তার শ্বশুড় পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করতো। গত বুধবার ফোন করে মুন্নির ডায়রিয়া হয়েছে জানিয়ে অচেতন অবস্থায় গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ অন্যান্যরা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মুন্নিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন্নি মারা যায়। পরিকল্পিতভাবে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মুন্নিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও তারা (মুন্নির স্বজন) অভিযোগ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, পৃহবধু মুন্নি আক্তার নিহতের ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি ইউডি মামলা করে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। পরে রহস্যজনক মৃত্যুর কারন জানতে পেরে বৃহস্পতিবার রাতেই নিহতের মামা বাড়ি গৌরনদীর নোয়াপাড়া গ্রাম থেকে মুন্নির লাশ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী শামিম সরদার ও শ্বশুর সিরাজ সরদারকে আটক করা হয়েছে।