শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
বরিশাল শহরের সদর রোডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মুসলিম ইনস্টিটিউটের জমি, মসজিদ নির্মাণ ও ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা ও বাধার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বরিশালের আলেম সমাজ।
বরিশালের জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডাঃ আলতাফ উদ্দিন আহমেদ, মাহমুদিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, বিএম কলেজের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আঃ রব, বিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুম, প্রিন্সিপাল মাওলানা ফরিদুল আলম প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মুসলিম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৭ সালে। সমাজসেবামূলক ও ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বরিশাল পৌরসভার কাছ থেকে প্রায় ৩৩ শতাংশ জমি দান হিসেবে পাওয়া যায়।
দাগ ও খতিয়ান অনুযায়ী উক্ত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে মসজিদ নির্মাণ ও ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কিন্তু জাতীয় প্রেক্ষাপট ও বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিবর্তনের কারণে একাধিকবার কার্যক্রম স্থগিত হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে পুনরায় পরিকল্পনা অনুযায়ী মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হলে স্থানীয়ভাবে আপত্তি ও বাধার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছালেও একটি পক্ষ সেখানে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না এবং আজান ও নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ—এমন বক্তব্য দিয়ে বাধা প্রদান করে।
এতে স্থানীয় মুসল্লি, ধর্মপ্রাণ মানুষ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আরও অভিযোগ করা হয়, একটি নির্দিষ্ট পক্ষ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মুসলিম ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছে, যা সামাজিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে।
আবেদনকারীরা জানান, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বরিশালের আলেম-ওলামা, ইমাম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সহযোগিতায় মুসলিম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে মসজিদ ও ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠার কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্য রয়েছে।
এ অবস্থায় মুসলিম ইনস্টিটিউটের নামে জমির কাগজপত্র হালনাগাদ, দখল নিশ্চিতকরণ এবং নির্বিঘ্নে ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
আবেদনকারীরা আশা প্রকাশ করেন, জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যায়সঙ্গত সমাধান দেবেন।