শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বিআরইউতে আসবেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার কলাপাড়ায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টূর্ণামেন্ট উদ্বোধন গনহত্যা, ধ্বংস এবং বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাইকেল র‍্যালি বরিশাল সদর উপজেলা তাঁতীদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‘গুম খুনের মাস্টার মাইন্ড হাসিনা ও তারেক সিদ্দিকীর সহযোগী আবদুস সালাম’ নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় বাতিঘর সংগঠনের দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারন, কন্টেন্ট ক্রিয়টরের ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড সাড়ে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় ১২ গ্রামের ফসলহানির শঙ্কা কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপিত কলাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ভুয়া ডাক্তারকে এক মাসের কারাদণ্ড গ্লোবাল উইক অব ক্লাইমেট একশনস’র মানববন্ধন ও সভা কুয়াকাটায় অজ্ঞাত ব্যাক্তির অ/র্ধ/গ/লি/ত ম/র/দে/হ উদ্ধার কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বরগুনায় লজিক প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বিসিসির বকেয়া ৪২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতে অনীহা

বিসিসির বকেয়া ৪২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতে অনীহা

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স:  দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ না হওয়ায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের অনুকূলে অর্ধশত কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগ বরিশাল নগরের সড়ক বাতিসহ পানির পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

যা নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হলেও বর্তমান পরিষদ গোটা বকেয়ার দায় নিতে রাজি নয়।

তবে নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান পরিষদের প্রধান সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

বর্তমান পরিষদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- বরিশাল সিটি করপোরেশনের অনুকূলে মোট ১১২টি বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। যার অনুকূলে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত টানা তিন পরিষদ ধরে সারচার্জসহ মোট বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরনের সময়কালে অর্থাৎ জুন ২০১৩ পর্যন্ত ২০ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৫ টাকা বকেয়া ছিল। সেই পরিষদ এক টাকাও পরিশোধ করেনি। এরপরে অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের মেয়াদকালে নতুন বকেয়া ২১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৫  হাজার ৯৩৯ টাকা নিয়ে মোট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ১১ লাখ ২৯ হাজার ৮৮ টাকা। যদিও ওই পরিষদ ১ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা পরিশোধ করে। এর পরবর্তীতে নভেম্বর ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর আমলে নতুন বকেয়া ১৫ কোটি ৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ টাকা নিয়ে মোট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৭ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৯ টাকা।

বর্তমান পরিষদের দাবি, তাদের আমলে প্রতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের বিলের অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বর্তমান মেয়রের আমলে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ২০৭ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যা এ যাবৎকালে কোনো মেয়রের আমলে সর্বোচ্চ।

এ পরিষদের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, কোনো কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে এভাবে সড়ক বাতি ও পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ কেটে দেওয়া হলো। নগরাবাসীকে এভাবে দুর্ভোগে ফেলাটা আমরা মনে করি সেচ্ছাচারিতা ও হটকারী সিদ্ধান্ত। বকেয়া যে শুধু বরিশাল সিটি করপোরেশনের রয়েছে এমনটা নয়, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনেরও কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। কিন্তু তাদের অবস্থা তো আমাদের মতো হয়নি। ২০২১ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের সই করা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক সভার রেজুলেশনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন- সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে যেসব পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে তা পরিশোধ না করলে সড়কবাতি ব্যতিত অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা। এছাড়া ওই রেজুলেশনে বলা হয়েছে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন বকেয়া বিদ্যুৎ বিল এককালীন পরিশোধ না করতে পারলে কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা এবং প্রয়োজনে সারচার্জ মওকুফের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের নিকট প্রস্তাব দিলে মওকুফের ব্যবস্থা করার কথা। যার কোনটিই মানেনি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, জনগণ আমার প্রতি খুশি, তাদের অখুশি করার জন্য এমনটা হতে পারে। লোকাল ফান্ডের টাকা দিয়ে কর্মচারী বেতন ও উন্নয়নমূলক কাজ করতে হচ্ছে, তবে সরকারি প্রজেক্টের টাকা আসলে এতো বিদ্যুৎ বিল দেওয়া ব্যাপার ছিল না। তারপরও বলেছি আমি চলে যাওয়ার আগে যতটুকু পারি পরিশোধ করে যাবো।

তিনি বলেন, আমাকে ২৫ কোটি টাকা দিতে বলা হচ্ছে, কিন্তু আমার সময় এ ২৫ কোটি টাকার বকেয়াই তো হয় নাই। আগের মেয়রদের সময়ের বকেয়া তারা কেন আদায় করেননি। তখন যে টাকা করপোরেশনের আয় হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে সেই বিলগুলো দেওয়ার কথা ছিল। আমি শপথ নেওয়ার পর থেকে দায়-দায়িত্ব নিতে পারি, তার আগেরটা তো আমার না।

এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে- সিটি করপোরেশনের কাছে ওজোপাডিকোর প্রায় ৫৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণ বাড়ছে, গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে শতাধিক চিঠি দিয়েও এর সমাধান হয়নি। বকেয়া টাকা আদায় না হওয়ায় তারা শহরের ১৫টি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD