শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
সূর্যের পাশে রংধনূর বলয় দেখে এটিকে মহামারির পূর্ব সংকেত বলে গুজব উঠেছে বরিশালে। অনেকেই চমকে যাচ্ছেন গোলাকার এই বলয় দেখে। বিপদের পূর্ব আলামত বলে গুজব ছড়াচ্ছেন অনেকে।
৩০এপ্রিল ২০১৬সালে ভারতের আনন্দ বাজার নামে একটি পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, এই বলয়কে মহাজাগতিক ‘বিস্ময়-বলয়’ বলা হয়।
সৌর পদার্থবিদ দিব্যেন্দু নন্দী বিজ্ঞানীর মতে, ‘‘এটাকে বলে ’২২ ডিগ্রী হেলো’ (আদতে ২১.৭ ডিগ্রি)। যখন বায়ুমন্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে সূর্যের আলো এসে পড়ে তখন সেখানে থাকা বরফে পড়ে সেই রশ্মি প্রতিসৃত (রিফ্র্যাক্টেড) হয়। এ ক্ষেত্রে বায়ুমন্ডলের বরফ কণাগুলো অনেকটা প্রিজমের মতো কাজ করে। এই ‘হেলো’টা ২২ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২২ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থানেই ওই রংধনু বা ‘হেলো’টা সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়। পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত যদি একটি সরলরেখা টানা যায়, তা হলে তার সঙ্গে ২২ ডিগ্রি কোণ করে এই প্রতিসরণটি হয়। তবে ২২ ডিগ্রির বেশি হয়ে গেলে এই বলয় ততটা উজ্জ্বল ভাবে দেখা যাবে না। যেহেতে বায়ুমন্ডলে জমা বরফ কণার জন্যই ওই প্রতিসরণ হয়, তাই এর ফলে পরে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। তবে সেই বৃষ্টি কতটা হবে বা তা আদৌ হবে কি না, তা নির্ভর করে জমা বরফ কণার পরিমাণের ওপর।’’
একই কথা জানিয়েছেন, কলকাতার ‘পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার’-এর ডিরেক্টর সঞ্জীব সেনও। তিনি বলেন, ‘‘ষড়ভুজ বরফের টুকরোগুলোর উপর সূর্যের আলো এসে পড়লে যে সাত রঙের বিন্যাস তৈরি হয় তাকেই সৌরবলয় বলা হয়। এই বিন্যাসের বাইরের দিকে থাকে দৃশ্যমান আলোর বেগুনি অংশটি আর ভেতরের দিকে থাকে লাল।’’
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: https://crimeseen24.com/news-video/%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%82%e0%a6%a7%e0%a6%a8%e0%a7%81-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%ae/