শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
বরিশালের বানারীপাড়ায় কুয়েত প্রবাসীর বসত বাড়ি থেকে তার দুই স্বজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া আরো একজনের লাশ বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটলেও শনিবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, কুয়েতের একটি মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুর রবের ঘরের বেলকুনী থেকে তার বৃদ্ধ মা মারিয়াম বেগমের (৭৫) লাশ, ঘরের একটি কক্ষ থেকে আব্দুর রবের ভগ্নিপতি মো: আলমের (৭৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও রবের খালাতো ভাই মো: ইউসুফের (১৮) লাশ হাত পা বাধা অবস্থায় বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রবাসীর মায়ের সাথে রাতে ঘুমাতে আসা এইচএসসি অধ্যায়নরত নাতনী আছিয়া ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে উঠে বেলকনিতে মরিয়ম বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করে।
প্রবাসীর স্ত্রী ইসরাত জাহানকে এ বিষয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী কিছুই টের পায়নি বলে তাদেরকে জানিয়েছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ শাহে আলম, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সহ সংশ্লিস্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, কুয়েতের একটি মসজিদের ইমাম হাফেজ আবদুর রবের বৃদ্ধ মা মরিয়মসহ ওই তিনজন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা প্রবাসীর একতলা বাড়িতে ঢুকে তাদের হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। ঘরের বেলকনি থেকে বৃদ্ধ মায়ের মরদেহ এবং একটি কক্ষ থেকে আবদুর রবের ভগ্নিপতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও রবের খালাতো ভাইয়ের মরদেহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই বাড়ির সব ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল, শুধু ছাদের দরজা খোলা পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তারা ছাদ দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বরিশালের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি মরদেহের নাকের কাছে রক্ত দেখা গেছে। এছাড়া তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন শরীরে পাওয়া যায়নি। আবার দুর্বৃত্তরা তেমন কিছু লুট করেও নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তাই পুরো বিষয়টি বিভিন্ন দিক থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।