শামীম আহমেদঃ

মাত্র ২১ দিন বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন। তিন বছর বয়সে মায়ের আদর স্নেহ ও ভালবাসা
থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মৌরিন আক্তার আশা। এরপর নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সংগ্রাম
করে বেঁচে থাকা মৌরিন আক্তার আশা ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে
ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন।

এজন্য পারিবারিকভাবে তাকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তবুও বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনৈতিক সংগঠন থেকে তিনি পিছু হটেননি। বরিশালের
বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুরের সম্ভ্রান্ত মিয়াবাড়ির সন্তান মরহুম এনামুল হক আনাম
মিয়ার একমাত্র কন্যা মৌরিন আক্তার আশা।

নিজে এতিম হলেও বাবুগঞ্জ উপজেলার অসহায় ও
দরিদ্র পরিবারগুলোকে নিজের আপনজন ভেবে সর্বদা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

দেশ সেবায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুসরন করে মৌরিন আক্তার আশা দীর্ঘ ১৬
বছর ধরে ঢাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী স্বামীর অনুপ্রেরণায় অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারগুলোর
পাশে দাঁড়িয়ে তাদের বেঁচে থাকার আশার আলো হয়েছেন। সেই এতিম আশা এবার
গোটা বরিশালজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

সূত্রমতে, মহামারি করোনাকালীন মৌরিন আক্তার আশা নিজের ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার বিক্রি
করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দুঃস্থ পরিবারগুলোর জন্য খাবার ক্রয় করে তাদের বাড়িতে
বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। জীবনের শেষসময় পর্যন্ত মৌরিন আক্তার আশা অবহেলিত
বাবুগঞ্জ উপজেলাবাসীর পাশে থাকতে চান।

সূত্রমতে, প্রতি মাসে একবার উপজেলার অসহায় পরিবারের নারীদের নিয়ে নিজের বাড়িতে
সভা করে তাদের সমস্যার কথা লিখে রাখেন মৌরিন আক্তার আশা। পরবর্তী একমাসের মধ্যে
সাধ্য অনুযায়ী ওইসব সমস্যা সমাধানের নিজেকে নিরলসভাবে উজার করে দিচ্ছেন
তিনি।

দীর্ঘবছর থেকে উপজেলার অসংখ্য অসহায় পরিবারের মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা
করেছেন মৌরিন আক্তার আশা।

প্রতিটি ঈদ ও দূর্গা পুজার সময় সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা, পুরো রমজান
মাসজুড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদদের রুহের
মাগফিরাত কামনায় প্রতিদিন ৫০ জন ব্যক্তিকে ইফতার এবং সেহরির ব্যবস্থা, শীত
মৌসুমে শীতার্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ, ঝড়ে পড়ারোধে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ
বিতরণ করে রিতিমতো ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী
লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মৌরিন আক্তার আশা।

মৌরিন আক্তার আশা বলেন, আমি অনুসরন করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তার
অনুপ্রেরণায় ও আমার রাজনৈতিক অভিভাবক বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র দিকনির্দেশনায় জনগণের কল্যাণে কাজ
করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে মানুষের কল্যাণে সব সময় কাজ করা যায়।
তবে সার্বিকভাবে সমাজের সেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার বিকল্প নেই। এজন্যই

উপজেলাবাসীর জোরালো দাবির মুখে আসন্ন বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
সম্ভাব্য নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও
বিগত একমাস ধরে বাবুগঞ্জ উপজেলাবাসী মৌরিন আক্তার আশাকে ভাইস চেয়ারম্যান
হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তার বাড়িতে এসে অনুরোধ করে আসছেন।

উপজেলাবাসীর অকুন্ঠ ভালবাসায় সিক্ত হয়ে অবশেষে সম্ভাব্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী হিসেবে বিপুল সংখ্যক সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগে নেমে জেলার মধ্যে
ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মৌরিন আক্তার আশা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আটটার দিকে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে অনুষ্ঠিত
মতবিনিময় সভায় মৌরিন আক্তার আশা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলাবাসী
সরকারের নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্পসহ অন্যান্য সুফল থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। যেকারণে এ
উপজেলায় বর্তমান উন্নয়নের সরকারকে নিয়ে সাধারণ মানুষ এখনও বিরূপ মন্তব্য করছেন।

তাই সাধ্যের মধ্যে থাকা জনসাধারণের নায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ
সরকারের সুনাম ফিরিয়ে আনতে নিরলস চেষ্টা করে যাবো। এজন্য বাবুগঞ্জ
উপজেলাবাসীকে তার পাশে পাবেন বলেও তিনি শতভাগ বিশ্বাসী।