রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
বরিশাল রেঞ্জের পুলিশ কনস্টবল সাইফুল ইসলাম (ব্যাজ নং ১৭/৭৬) কতৃক ঝালোকাঠি জেলার নলছিটি থানা এলাকার আলামিন নামের এক যুবকের উপর হত্যার উদ্বেশ্যে হামলা ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে বরিশাল রেঞ্জের ডি.আই.জি বরাবর অভিযোগ এবং সংবাদ সম্মেলন করেন হামলার শিকার যুবকের বাবা সোহরাব শরিফ ও স্ত্রী রুপা বেগম।
গতকাল হামলার শিকার আল আমিন’র পরিবারের পক্ষ থেকে আলআমিনের বাবা সোহরাব শরীফ সংবাদ সম্মেলনে জানায় গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ নলছিটি থানার বিন্দুঘোষ গ্রামের প্রতিবেশি নুর ইসলামের হাওলাদারের সাথে পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল জোর করে নুর ইসলাম আমাদের পুকুরে মাছ ছাড়তে আসলে আমরা বাধা দিলে নুর ইসলামের স্ত্রী আমাদের পরিবারের ৭জনের বিরুদ্বে নলছিটি থানায় একটি ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দেয়। আমরা আদালতকে সম্মান করে আত্বসমার্পন করলে আদলত আমাদের প্রতি খুশি হয়ে চলতি মাসের ৭তারিখ আমাদেরকে জামিন দেয়। জামিনে আসার পর থেকে নুর ইসলাম তার দলবল নিয়ে আমাদের আশে পাশে ঘুরতে থাকে এবং ভিবিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়।
সর্ব শেষ গত ৮তারিখ আমার ছেলে আলআমিন আমার বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। এবং ৯তারিখ আমার বোনের বাড়ি থেকে কোরবানির গরু ক্রয়ের উদ্বেশ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি রওয়ানা দিলে পাওতা থেকে বিহংগল গ্রামে পৌছালে আমার ছেলেকে ৪টি মটর সাইকেলে করে পুলিশ পরিচয়ে সন্ধা ৬টার সময় বরিশাল রেঞ্জের কনস্টবল সাইফুল ইসলাম (ব্যাচ নং- ১৭/৭৬) সহ কয়েকজন সন্ত্রাসী তুলে এনে ভোলা রোডের দক্ষিন পাশের একটি বিল্ডিংয়ের নিচে নিয়ে আসে। পরে আমার ছেলে আলআমিনের হাত, চোখঁ, ও মুখ বেধে লোহার রড ও ইট দিয়ে মাথা ও হাতে পায়ে আগাত করে। এরপর তারা আমার ছেলের পকেটে থাকা নগদ ৫০হাজার টাকা নিয়ে যায়। আহত আলআমিন এখন মূমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
বরিশাল রেঞ্জের কনস্টবল সাইফুল ইসলাম (ব্যাচ নং- ১৭/৭৬) এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার চেয়েছেন অসহায় আলামিনের পরিবার।